পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) বৈঠকে বসছে বাংলাদেশ ও চীন। আজ শনিবার (২৭ মে) ঢাকায় এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে দুই দেশের সামগ্রিক বিষয় ছাড়াও আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিভিন্ন ইস্যু গুরুত্ব পাবে। এ ক্ষেত্রে পাইলট প্রকল্পের অধীনে কিছু রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তনের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাবে।

ঢাকার পক্ষে এফওসিতে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং বেইজিংয়ের পক্ষে ভাইস মিনিস্টার সান ওয়েইডং নিজ নিজ দেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন।

শুক্রবার (২৬ মে) রাতে এফওসিতে নেতৃত্ব দিতে চীনের ভাইস মিনিস্টার ওয়েইডং একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে ঢাকায় পৌঁছায়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইস্ট এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক অনু‌বিভাগের মহাপ‌রিচালক তৌ‌ফিক হাসান এবং ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, আলোচনায় অনেক কিছু আসতে পারে। দ্বিপক্ষীয় সব ইস্যু থাকবে। আঞ্চলিক ইস্যুও আসবে। আমাদের দ্বিপক্ষীয় ইস্যুগুলো কোন অবস্থায় আছে, সেগুলো নিয়ে আলোচনা হবে। চলমান বিভিন্ন ইস্যু নিয়েও আলোচনা হতে পারে। দুই দেশের রাজনৈতিক পর্যায়ে সফর বিনিময়ের প্রসঙ্গও আলোচনায় আসবে।

আলোচনায় রোহিঙ্গাদের পাইলট প্রকল্পের অধীনে প্রত্যাবাসনে বিশেষ গুরুত্বের কথা জানিয়ে এ কর্মকর্তা বলেন, ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগে মিয়ানমার ইস্যুতে আলোচনা হবে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে মূল আলোচনা হবে। নির্বাচনের আগে কিছু রোহিঙ্গা পাঠানো দরকার। প্রসেসটা আমরা শুরু করতে চাই।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, দুই দেশের সামগ্রিক বিষয় নিয়ে হতে যাওয়া সভায় থাকছে গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভে (জিডিআই) ঢাকার যুক্ত হওয়ার প্রসঙ্গ। বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে এ-সংক্রান্ত বিস্তর আলোচনা ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সইয়ের বিষয়ে জোর দেওয়া হবে। এ ছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ইস্যু আলোচনায় থাকছেই।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে ওয়েইডংয়ের। এ ছাড়া ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি পদ্মা সেতু দেখতে যাবেন তিনি।