• রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৪:২৭ পূর্বাহ্ন

বিএনপির ঘরের মধ্যে অন্তর্জ্বালা শুরু হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী

মুহাম্মাদ শিমুল হুসাইন
মুহাম্মাদ শিমুল হুসাইন / ১০১
রবিবার, ২৭ অগাস্ট, ২০২৩
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৯১১৬৫২৫৭০ (হোয়াটসঅ্যাপ)

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, পত্রিকায় দেখলাম চট্টগ্রামে ছাত্রদল বিএনপি অফিসে তালা লাগিয়ে দিয়েছে। কখন যে নয়া পল্টনের অফিসে যুবদল তালা লাগিয়ে দেয়, সেটি দেখার বিষয়। তাদের (বিএনপি) ঘরের মধ্যে এখন অন্তর্জ্বালা শুরু হয়েছে। নইলে ছাত্রদল বিএনপি অফিসে তালা লাগানোর কথা না। এটি শুরু হওয়ার কারণ হচ্ছে, বিদেশিদের কাছে বারবার ধর্না দিয়ে কোনো লাভ হয়নি।

রবিবার (২৭ আগস্ট) গ্রেনেড হামলায় নিহত আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের সহধর্মিনী বেগম আইভি রহমানের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে আইভি রহমান পরিষদ।

হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির তিন নেতা সিঙ্গাপুর গেছেন। পত্রপত্রিকায় লেখা হয়েছে এটা কি আদৌ চিকিৎসা, নাকি আরও কোনো ষড়যন্ত্র করার উদ্দেশ্যে তাদের এই নেতারা একইসঙ্গে সিঙ্গাপুর গেলেন। এটা অনেকের প্রশ্ন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন বর্জন করার অধিকার বিএনপির আছে। কিন্তু নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা যদি কেউ করে, তাহলে দেশের মানুষ কঠোর হস্তে সেটি প্রতিহত করবে। এটি ২০১৪ সাল নয়, ২০২৩ সাল। এখন ২০১৩-১৪ সালের পুনরাবৃত্তি করবেন, সেটি এই দেশের মানুষ করতে দেবে না।

হাছান মাহমুদ বলেন, গ্রেনেড হামলা পরিচালনা হবে সেজন্য ফারুক-রশিদ তখন ঢাকায় এসেছিল। বঙ্গবন্ধুর খুনিদেরও এই হামলায় যুক্ত করা হয়েছিল। যখনই শুনেছে শেখ হাসিনা মৃত্যুবরণ করেনি, তারপর তারা চলে গেছে। এই হামলার পর হাওয়া ভবনের প্রথম প্রশ্ন ছিল, শেখ হাসিনা বেঁচে আছে? যখন শুনেছে তিনি (শেখ হাসিনা) বেঁচে আছেন, তারা হতাশায় নিমজ্জিত হয়। তাদের উদ্দেশ্য ছিল শেখ হাসিনাকে হত্যা করা।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে মোস্তাক এবং জিয়া। আর ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তারেক জিয়া। তারা আসলে হত্যার রাজনীতিটাই করে। হত্যার রাজনীতির মাধ্যমেই জিয়াউর রহমানের উত্থান এবং ক্ষমতায় টিকে থাকাটাও হত্যার রাজনীতির মাধ্যমে অব্যাহত রেখেছে। তার (জিয়াউর রহমান) বিরুদ্ধে যখনই সেনাবাহিনীতে ক্যু এর প্রচেষ্টা হয়েছে, তখনই নির্বিচারে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ও সৈনিকদের হত্যা করা হয়েছিল।

আইভি রহমানের স্মৃতিচারণ করে হাছান মাহমুদ বলেন, আইভি রহমান একজন কর্মীবৎসল নেত্রী ছিলেন। তিনি কর্মীদের সঙ্গে উঠতেন, চলতেন, বসতেন। এমন কোনো মিটিং নেই, যেখানে তিনি থাকতেন না। তিনি শৌখিন ছিলেন। যত্নসহকারে স্বামীর খোঁজ খবর রাখতেন।


আরও সংবাদ

জরুরি হটলাইন