আগামীকাল বুধবার (১৫ নভেম্বর) দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে যাচ্ছে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন। তফসিল ঘোষণার লক্ষ্যে কাল বিকাল ৫টায় কমিশন সভা আহবান করেছে ইসি। এবারই প্রথম সরাসরি জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণের এই তফসিল ঘোষণা করবেন সিইসি। সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) কমিশনের অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে তফসিলের ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র আরও জানায়, ভোট হবে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে।
এদিকে মঙ্গলবার থেকেই নির্বাচন কমিশন ভবনের আশপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সকাল থেকে নির্বাচন কমিশনের সামনে ও আশপাশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতা আগের চেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে।
নির্বাচন ভবনের সামনে চারটি দলে পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে, যা সোমবার বা এর আগে ছিল না। এছাড়া, নির্বাচন কমিশন ভবনে ঢুকতে হলেও পুলিশি জেরার মধ্যে পড়তে হচ্ছে সবাইকে। পাশাপাশি পুলিশি টহলও বাড়ানো হয়েছে। কিছুক্ষণ পরপরই পুলিশের গাড়ি নির্বাচন কমিশনের সামনে দিয়ে টহল দিচ্ছে।
জানা গেছে, বুধবার বিকাল ৫টায় তফসিল নিয়ে বৈঠকে বসবে নির্বাচন কমিশন। এ বৈঠকের পরই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে তফসিল ঘোষণা করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (ইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
এর আগে সোমবার (১৩ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, চলতি মাসের প্রথমার্ধেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর। নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয় ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। সংবিধান অনুযায়ী, বর্তমান সংসদের পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি। পরবর্তী সংসদের জন্য ভোটগ্রহণ করতে হবে তার আগের নব্বই দিনের মধ্যে। অর্থাৎ গত ১ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে। আর ২৯ জানুয়ারির মধ্যে রয়েছে নির্বাচন সম্পন্ন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
ভোটের ক্ষণগণনা শুরু হলেও এখনো সরকারের পতনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে দেড় দশকের বেশি সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা দল বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলো। অন্যদিকে সংবিধানের বাইরে ভোট করতে নারাজ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দেশের প্রধান দুই দলের এমন অনড় অবস্থানের কারণে ভোট সঠিক হয়ে হবে কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিলেও নির্বাচন কমিশন সংবিধান মতে প্রস্তুত। এজন্য সব ধরনের প্রস্তুতিও নিয়েছে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সংস্থাটি।