ট্রান্সজেন্ডার নিয়ে বিতর্কিত প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের নেতারা। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর রাজধানীর পল্টনে ঢাকাস্থ ফেনী সমিতি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের কাছে ট্রান্সজেন্ডার নিয়ে বিতর্কিত প্রশ্নের জবাব দেন তারা।
হেফাজত নেতারা বলেন, আধুনিক বিশ্ব ও মুসলিম রাষ্ট্রগুলো ট্রান্সজেন্ডার আইনগুলো নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ এটা মেনে নিতে পারে না। এটা সমকামিতার পথ উন্মুক্ত করে। এটার অশ্লীলতা বিশ্বের মাঝে ছাড়িয়ে যাবে।
তারা বলেন, ট্রান্সজেন্ডার বিষয়টি নিয়ে আমরা পর্যায়ক্রমে সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবো। তাছাড়া আমাদের শিক্ষা কমিটি আছে তারা এর বিপরীত ইসলামের আলোকে শিক্ষা সিলেবাস তৈরির কাজ করছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হেফাজতের এক নেতা বলেন, বাহ্যিকভাবে পুরুষ আর ভেতর থেকে নারী এমন কি কোনো বাস্তবতা আছে? তবে হিজরার ক্ষেত্রে জন্মগতভাবে দুইভাবে তাদের দুর্বলতা থাকে, ত্রুটি থাকে। কিন্তু একজন পরিপূর্ণ বাহ্যিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের দিক থেকে যে পুরুষ আর যে মনে মনে ভাবে সে নারী, এটা পৃথিবীর সূচনালগ্ন থেকে এখন পর্যন্ত কোন অস্তিত্ব ছিল না, এই ট্রান্সজেন্ডার মতবাদ সৃষ্টি হওয়া আগ পর্যন্ত।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় শিক্ষা কারিকুলামে ইসলামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক সব বিষয় বাতিলসহ ১৩ দফা দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। একই সঙ্গে ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তির অধিকার সুরক্ষা খসড়া আইন পাস না করার দাবিও জানান দলটির আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীসহ শীর্ষ নেতারা।
এছাড়া পঞ্চগড়ে কাদিয়ানিদের সালানা জলসা বন্ধ, মাওলানা মামুনুল হকসহ আলেম উলামাদের মুক্তি এবং হেফাজতের নেতাকর্মীদের নামে দায়েরকৃত সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।