• বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪১ অপরাহ্ন

চবি ছাত্রলীগের ৪ ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে রণক্ষেত্র ক্যাম্পাস

নিজস্ব প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিনিধি / ৮৩
শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৯১১৬৫২৫৭০ (হোয়াটসঅ্যাপ)

পূর্ব ঘটনার জের ধরে আবারও সংঘর্ষে জড়িয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুটি উপগ্রুপ। ৪ ঘণ্টা ধরে দফায় দফায় চলে এ সংঘর্ষ। পুলিশসহ আহত হয়েছে প্রায় ৩০ জন।

শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে বগি ভিত্তিক গ্রুপ সিক্সটি নাইন ও সিএফসির মধ্যে শুরু হয় তুমুল সংঘর্ষ। চলতে থাকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত। সংঘর্ষে জড়ানো গ্রুপ দুটির একটি হলো শাহজালাল হলের সিক্সটি নাইন যেটি সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী। অপর আরেকটি গ্রুপ শাহ আমানত হলের সিএফসি যেটি শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।

দেখা গেছে গতকাল (বৃহস্পতিবার) চবির রেলস্টেশনের একটি দোকানের সামনে সিএফসির এক কর্মী ২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ফাহিমকে সামান্য কথা কাটাকাটি নিয়ে মারধর করে সিক্সটি নাইনের কয়েকজন কর্মী।

এরই জের ধরে ঐদিনই সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগের উপ-গ্রুপ দুটি। ওই সংঘর্ষের পরে আবারও শুক্রবার বিকেলে সংঘর্ষে জড়ায় তারা। টানা ৪ ঘণ্টা চলে এই সংঘর্ষ। এ সময় সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতাকর্মীরা শাহজালাল হলের সামনে এবং সিএফসি গ্রুপের নেতাকর্মীরা শাহ আমানত হলের সামনে আবস্থান করে পরস্পরের দিকে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে।

এ সময় নেতাকর্মীদের হাতে দেশীয় অস্ত্র রামদা, চাপাতি নিয়ে মহড়া দিতেও দেখা যায়।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায় বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে শুরু হয়ে রাত আটটা পর্যন্ত চলা সংঘর্ষে তিনজন পুলিশসহ উভয় গ্রুপের অন্তত ৩০ জন গুরুতর আহত হয়েছে।

এদিকে ঘটনার সাথে সাথেই পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল টিম গিয়ে উপস্থিত হয়। সন্ধ্যার দিকে তারা উভয় গ্রুপকে থামানোর চেষ্টা করলেও কিছুক্ষণ পরে আবারও সংঘর্ষে জড়ায় দুটি দল।

সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সিএফসির নেতা সাদাফ খান বলেন সিক্সটি নাইন এর অনুসারীরা লাগামহীন হয়ে গেছে। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে সংঘর্ষ লাগানোর জন্য আমাদের এক জুনিয়রকে মারধর করেছে। সেটা থেকেই সংঘর্ষের সূত্রপাত।

এ বিষয়ে সিক্সটি নাইনের এক কর্মী জহিরুল ইসলাম বলেন এর আগেও তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমাদের সাথে সংঘর্ষে জড়ায় সিএফসি।

আগামী কমিটিতে নিজেদের নাম রাখার জন্যেই আধিপত্য দেখাতে লাগাতার মারামারি করছে তারা। আমরা কখনোই চাই না এমন ঘটনা ক্যাম্পাসে ঘটুক। সাধারণ শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে হলেও এগুলা বন্ধ করা উচিত।

এ বিশেষ বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. নুরুল আজিম সিকদার বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পুলিশকে টিয়ার শেল নিক্ষেপের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু ঐরকম পরিবেশ না থাকায় টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করতে পারেনি পুলিশ। অনেকক্ষণ সংঘর্ষ চলার পর উভয় পক্ষ স্থিমিত হয়ে গেলে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির কথায় উভয় গ্রুপ হলে চলে যায়।

এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু কোনো পদক্ষেপ নেই প্রশাসনের- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রশাসন তার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যেই গতকালকের ঘটনায় ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজকের ঘটনাটিও আমরা খতিয়ে দেখব। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নেব।


আরও সংবাদ

জরুরি হটলাইন