এবারের বিপিএলে বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান যেন এক রহস্যের নাম। বিপিএলের শুরুর দিকে তাকে দেখে মনে হচ্ছিল তিনি বোধহয় কখনো ক্রিকেট খেলেননি। রান না পাওয়ায় তিনি নামছিলেন শেষ ব্যাটার হিসেবেও। তবে সময় যেতে যেতে ঠিকই বিপিএলে রানে ফিরলেন সাবেক এই টাইগার দলপতি। খুলনা টাইগার্সের পর চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষেও দ্যুতি ছড়িয়ে চলতি বিপিএলে টানা দ্বিতীয় ফিফটি হাঁকিয়েছেন তিনি। ব্যাট হাতে টাইগার অলরাউন্ডারের আধিপত্যের দিনে বড় পুঁজি পেয়েছে রংপুর রাইডার্স।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের সাগরিকায় জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে সাকিবের ব্যাটিংয়ে ও শেখ মাহেদীর ক্যামিওতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৮৭ রান করে রংপুর রাইডার্স। চট্টগ্রামের পক্ষে ২৭ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন রোমারিও শেফার্ড। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন সালাউদ্দিন সাকিল ও শহিদুল ইসলাম।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে এদিন রংপুর ভালো শুরু পায়নি। ওপেনার রনি তালুকদার ২৫ করলেও ব্যর্থ হন আরেক ওপেনার রেজা হেন্ড্রিকস। ব্রান্ডন কিংও ব্যর্থ হলে ৫২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে রংপুর। তখন দলের হাল ধরেন সাকিব। তবে চতুর্থ উইকেটে তাকে সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। ৯ বলে ৫ রান করে তিনি সাকিলের বলে বোল্ড হন।
এরপর খুলনার সঙ্গে ম্যাচের মতো সাকিবকে সঙ্গ দেন শেখ মাহেদী হাসান। তাদের মধ্যকার ৬৮ রান রংপুরকে ট্রাকে আনে। ৪ ছক্কায় ১৭ বলে ৩৪ রান করে ক্রস শট খেলতে গিয়ে বিলাল খানের বলে বোল্ড হন মেহেদী। অপরপ্রান্ত আগলে রাখা সাকিব ৩৩ বলে সমান ৩ ছক্কা ও ৩ চারে ফিফটি তুলে নেন। আসরের শুরুতে রানখরায় ভোগা এ ব্যাটার দ্যুতি ছড়িয়েছিলেন আগের ম্যাচেও। খুলনার বিপক্ষে ৩১ বলে করেছিলেন ৬৯ রান। আর এদিন ৩৯ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৬২ রানে থামে তার ইনিংস।
শেষ দিকে শামীম হোসেন ৯ বলে ১৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ এক ইনিংস খেলেন। তাতে টানা ছয় জয়ে উড়তে থাকা রংপুর টানা সপ্তম জয়ের জন্যেও পেয়েছে দারুণ পুঁজি। ৯ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে থাকা সাকিব-সোহানরা এ ম্যাচ জিতলে একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে যাবে প্লে অফ।
অন্যদিকে টানা দুই হারে টেবিলের পাঁচে নেমে যাওয়া চট্টগ্রামকে ঘুরে দাঁড়াতে তুলে নিতে হবে জয়। ৯ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১০।