বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, দেশের স্বাধীনতার মূল যে আদর্শ, সেটিতে আওয়ামী লীগ আঘাত করেছে। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
মঈন খান বলেন, দেশের এই ক্রান্তিকালে আমরা আন্দোলনরত আছি। সেই আন্দোলনটা হচ্ছে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার। বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে। বিশ্বের ইতিহাসে অন্যান্য একটি নাম বাংলাদেশ। যে দেশের স্বাধীনতার জন্য লাখ লাখ মানুষ বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, আমরা প্রতিবাদ করেছিলাম পাকিস্তানের একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে, বলেছিলাম পাকিস্তানের অবকাঠামোর ভেতরে কোনোদিন গণতন্ত্র হতে পারে না। প্রতিবাদ করেছিলাম বাংলাদেশ তথা পূর্ব পাকিস্তানের ২২টি পরিবারের বিরুদ্ধে। এ দেশের মানুষের অর্থনৈতিক অধিকার কেড়ে নিয়েছিল এটা হতে পারে না। আমরা এই জন্য যুদ্ধ করেছিলাম বাংলাদেশের গণতন্ত্র থাকবে।
এ দেশের দরিদ্র মানুষের অর্থনীতির অধিকার নিশ্চিত থাকবে।
তিনি অভিযোগ তুলে বলেন, ৭ জানুয়ারি আগেই নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল, কে কোন সিট থেকে জয়ী হবেন।
এ দেশে গণতন্ত্র নেই। এটা শুধু আমাদের কথা নয়, বিশ্বের বড় বড় ম্যাগাজিন ও প্রতিষ্ঠান বলেছ, আজকে বাংলাদেশে বাকশাল কায়েম করা হয়েছে।
মঈন খান আরও বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের যে হামলা সেটি ছিল সরকারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরোধীদলের ওপর ক্র্যাকডাউন। এটা বিশ্ব মিডিয়া বলেছে। ক্র্যাকডাউনের মাধ্যমে সরকার নতুন করে এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকার ভঙ্গ করেছে। এর ফলে যে সংসদ ও সরকার গঠিত হয়েছে, সেটি জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না।
চলমান সংগ্রামে শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় রাজপথে থেকে আন্দোলন করার আহ্বান জানান মঈন খান।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি হিসেবে দাবি করে সেটি ভুয়া। তারা কখনো গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে নাই।
দেশের ১৮ কোটি মানুষকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিরাপদ নয়।
দেশের স্বাধীনতার মূল যে আদর্শ সেটিতে আওয়ামী লীগ আঘাত করেছে। গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার হরণ করেছে তারা ।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য বিরোধীদলকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চায়। সেই পথেই হাঁটছে তারা।
এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া জেড রিয়াজ উদ্দিন নসু তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ সদস্য সচিব মজিবুর রহমান কাজী মনিরুজ্জামান মনির মোফাখখারুল ইসলাম রানা মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব মো. আবদুর রহিম বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।