মেহেদী হাসান, রাণীশংকৈল ঠাকুরগাঁও
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত “কুলিক” নদীর সুরক্ষা নিশ্চিত করন সহ তৎসংলগ্ন এলাকার প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র্য রক্ষা এবং পানির প্রবাহ ও নদীকে দখলমুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন প্রসঙ্গে কুলিক নদী সুরক্ষা কমিটির আইন উপদেষ্টা ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মোঃ মেহেদী হাসান সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জাস্টিস ডিমান্ড নোটিশ ইস্যু করেন।
নোটিশে সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী মোঃ মেহেদী হাসান জানান যে, ঠাকুরগাঁও জেলাধীন রাণীশংকৈল উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে গেছে”কুলিক” নামে একটি নদী।নদীটি বাংলাদেশের উত্তরাংশের ঠাকুরগাঁও উপজেলা ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের বিল এলাকা থেকে উৎপন্ন হয়ে বাংলাদেশে হরিপুর উপজেলায় বাংলাদেশ অংশে পড়েছে। বাংলাদেশের প্রবাহপথে বালিয়াডাঙ্গী, রাণীশংকৈল ও হরিপুর উপজেলায় রয়েছে। এছাড়াও নদীটি বাংলাদেশ-ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী। রাজা টংকনাথের প্রাসাদ এই নদীর তীরে অবস্থিত।
বর্তমানে নদীর পানি দূষিত হওয়ার ফলে নদীতে মাছের তেমন দেখা মেলে না, ফলে জেলে-পল্লীর মানুষের জীবিকা নির্বাহ করা যেমন কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে তেমনিভাবে নদীর নাব্যতা কমে যাওয়ার ফলে কৃষকের মাঠে ফসল ফলানো স্বপ্নে পরিণত হয়েছে। ভূমি দস্যুদের আধিপত্যে এবং সংস্কারের অভাবে নদীটি যৌবন হারিয়ে পরিণত হয়েছে জীর্ণ-শীর্ণ ও বর্জ্যের স্তুপে।
তিনি বলেন যে, বাংলাদেশ সংবিধান এর অনুচ্ছেদ ১৮ (ক) অনুযায়ী পরিবেশ ও জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও উন্নয়ন, বাংলাদেশ পানি আইন, ২০১৩ এর-ধারা ২০ (১) অনুযায়ী জলস্রোতের স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিতকরণ, মহানগরী, বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরের পৌর এলাকাসহ দেশের সকল পৌর এলাকার খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান,উদ্যান এবং প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন, ২০০০ এর-ধারা ৫ অনুযায়ী খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান ও প্রাকৃতিক জলাধারের শ্রেণী পরিবর্তনে বাধা- নিষেধ, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন) আইন, ২০১০-ধারা ৬ (গ) অনুযায়ী ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য উৎপাদন, আমদানী, মজুদকরন, বোঝাইকরন, পরিবহন, ইত্যাদি সংক্রান্ত বাধা-নিষেধ রয়েছে, সুতরাং, কুলিক নদী সংস্কার বর্তমানে সময়ের দাবি।
এরই ধারাবাহিকতায় বিগত ২৭/১২/২০২৩ ইং এবং ১০/০১/২০২৩ ইং তারিখে কুলিক নদী সুরক্ষা ও সংস্কারের জন্য রিপ্রেজেন্টেশন প্রেরণ করা হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ৩০(এিশ) দিনের মধ্যে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ নদী রক্ষা কমিশন সহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষকে আইনী নোটিশ ইস্যু করেন।