• বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ০২:০৭ পূর্বাহ্ন

প্রভাবশালীর প্রভাবে শতাধিক একর জমিতে বিদ্যুৎ নেই গভীর নলকূপে।

নিজস্ব প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিনিধি / ৯০
মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৯১১৬৫২৫৭০ (হোয়াটসঅ্যাপ)

নুরুজ্জামান হোসেন হিলি থেকে

উত্তরাঞ্চলের শস্য ভান্ডার খ্যাত দিনাজপুরের জেলার হাকিমপুরকে শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় এনেছে সরকার। কিন্তু হাকিমপুর উপজেলার আলীহাট ইউনিয়নের কোকতারা গ্রামে শতাধিক একর জমির চাষাবাদে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। ফলে এসব জমির চাষাবাদ নিয়ে বিপাকে চাষিরা। বিদ্যুৎ সংযোগ না-থাকায় বিগত পাঁচ বছর ডিজেল চালিত সেচপাম্প দ্বারা পানি সেচ দিয়ে আসছেন তারা। এতে কয়েকগুণ বাড়তি খরচ করতে হয় তাদের। দপ্তর দপ্তরে ঘুরেও বিদ্যুৎ সংযোগ পাচ্ছে না এখানকার চাষিরা।


গেলো মঙ্গলবার ২০ ফেব্রুয়ারি সরেজমিনে উপজেলার কোকতারা গ্রামের মাঠে দেখা যায়, শতাধিক একর জমিতে রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগহীন একটি গভীর নলকূপ। তবে নলকূপের পাশ দিয়ে রয়েছে বিদ্যুতের পৈলসহ লাইন। কিন্তু এই নলকূপের সাথে নেই বিদ্যুৎ সংযোগ। ফসল ফলার তাগিদে ডিজেল চালিত সেচ পাম্প দিয়ে এই শতশত একর জমিতে চাষাবাদ করছেন তারা। প্রতি একর সেচ পানির মুল্য দিতে হয় প্রায় ১২ হাজার টাকা। অথচ বিদ্যুৎ সংযোগের মাধ্যমে খরচ হয়ে থাকে ৩হাজার ৬০০ টাকা। ৮হাজার ৪শত টাকা বেশি ব্যয় করতে হয় এখানকার কৃষকদের। এতে করে বছরে তিনটি ফসল ফলাতে লোকসানের সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাদের। এতেকরে দিনদিন এই তিন শতাধিক একর ফসলি জমিতে ফসল ফলাতে আগ্রহ হারিয়ে সর্বশান্ত হতে বসেছে এখানকার কৃষকেরা।


জানা যায়, ২০০৪ সালে প্রথম বিদ্যুৎ সংযোগের মাধ্যমে এখানে চালু হয় গভীর নলকূপটি। ২০১৮ সাল পর্যন্ত এই মাঠের কৃষকেরা এই নলকূপটি সচল পেয়েছিলো। কিন্তু কাদের নামে এক প্রভাবশালী নলকূপটিকে নিজের বলে দাবি করে এবং প্রভাব খাটিয়ে নলকূপটির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। কোন মতেই বিদ্যুৎ সংযোগটি না পেয়ে চাষাবাদ নিয়ে দিশেহারা এখানকার ভুক্তভোগী চাষিরা।

মহির উদ্দিন, আলম হোসেন, জহুরু


আরও সংবাদ

জরুরি হটলাইন