• বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ০৮:০৩ পূর্বাহ্ন

নারায়ণগঞ্জের সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট

নিজস্ব প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিনিধি / ৯৫
বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৯১১৬৫২৫৭০ (হোয়াটসঅ্যাপ)

নারায়ণগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অষ্টম সংসদ নির্বাচনে তিনি বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য ছিলেন।

দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে ওই চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়। দুদক কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক সই করা চিঠির সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

শিগগিরই তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে তা দাখিল করবেন বলে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

এর আগে ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর দুদক উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ১ কোটি ৪১ লাখ ৮৬ হাজার ৯৩১ টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আনা হয়েছিল। যদিও অনুমোদিত চার্জশিটে টাকার অঙ্ক কিছুটা কমেছে বলে জানা গেছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২ নভেম্বর মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ দেওয়া হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ২৩ ডিসেম্বর দুদকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন তিনি। অনুসন্ধানকালে প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র ও দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী যাচাই করে মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের নামে ১৫ কোটি সাত লাখ ১৫ হাজার ৭৭৯ টাকার স্থাবর সম্পদ ও পাঁচ কোটি ৮৮ লাখ ৭০ হাজার ৩১৮ টাকা অস্থাবর সম্পদসহ মোট ২০ কোটি ৯৫ লাখ ৮৬ হাজার ৯৭ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়।

সূত্র আরও জানায়, গিয়াসউদ্দিন ২০০৮-০৯ করবর্ষ থেকে ২০২১-২২ করবর্ষে পারিবারিক ও অন্যান্য খাতে ১৭ কোটি ৪৫ লাখ ৯০ হাজার ৪৩ টাকা ব্যয়ের তথ্য পায় দুদক। এসব ব্যয়ের বিপরীতে বিভিন্ন সময়ে সঞ্চয় হিসাবে ছয় কোটি ৮১ লাখ ২২ হাজার ৮৫৬ টাকা, গৃহ সম্পত্তি থেকে আয়ের দুই কোটি ১৮ লাখ ৬৯ হাজার ৪৫০ টাকা, বাবার কাছ থেকে হেবা মূল্যে প্রাপ্ত ১১ শতাংশ জমিসহ সাত কোটি টাকার চালান, চার লাখ ৩২ হাজার টাকার মুক্তিযোদ্ধা ভাতাসহ মোট ১৭ কোটি ৬৮ লাখ ৮৪ হাজার ৭৩৭ টাকার বৈধ ও গ্রহণযোগ্য উৎস পাওয়া গেছে।

তবে গিয়াসউদ্দিনের আয়কর নথি অনুযায়ী কাসসাফ শপিং সেন্টার নির্মাণ ব্যয় প্রদর্শনকালে ২০২১-২২ করবর্ষে মার্কেটের ৮০২ বর্গমিটার নির্মাণে ১ কোটি ৪১ লাখ ৮৬ হাজার ৯৩১ টাকা বিনিয়োগের বিষয়ে বৈধ উৎস পায়নি দুদক। যা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে। তাই দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।


আরও সংবাদ

জরুরি হটলাইন