• বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ০১:১৯ পূর্বাহ্ন

ঢাবির হলে অনাবাসিক ছাত্রীদের প্রবেশের অনুমতির দাবিতে স্মারকলিপি

নিজস্ব প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিনিধি / ৯৭
রবিবার, ১০ মার্চ, ২০২৪
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৯১১৬৫২৫৭০ (হোয়াটসঅ্যাপ)

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী হলগুলোতে অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের নিজ হলের অফিস ব্যতীত আর কোথাও প্রবেশ করতে না দেওয়া ও কর্মচারীদের খারাপ আচরণের প্রতিকারসহ হল থেকে খাবার কেনার সুযোগ চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

রোববার (১০ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের কার্যালয়ে এই স্মারকলিপি প্রদান করে সংযুক্ত ছাত্রী হলগুলোর অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল। এরপর প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমানের কাছেও এর একটি অনুলিপি দেন তারা।

এ প্রসঙ্গে শামসুন্নাহার হলের শিক্ষার্থী মালাইকা ইসলাম কালবেলাকে জানান, মেয়েদের হলে অনাবাসিক ছাত্রীদের প্রবেশের ক্ষেত্রে ও হল ক্যান্টিনে খাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা তুলে নেওয়ার জন্য ভিসি সার ও প্রক্টর স্যারকে আমরা আমাদের স্মারকলিপি জমা দিয়েছি। যদিও ভিসি স্যারের সঙ্গে সরাসরি কথা হয়নি। তবুও তিনি আমাদের আবেদনপত্র পড়েছেন এবং এ বিষয়ে তিনি আজ বিভিন্ন হল প্রাধ্যক্ষদের সঙ্গে বসবেন বলেছেন। প্রক্টর স্যার আমাদের ধন্যবাদ দিয়েছেন এই দাবি তোলার জন্য। আর তিনি এও বলেছেন, তিনি এ বিষয়ে একেবারেই অবগত ছিলেন না।

স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, নানা জটিলতা ও সিট সংকটের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরু থেকে আমাদের বাইরের আবাসস্থলগুলোতে কোনো রকমে নিজের একটি আশ্রয় করে নিতে হয়। কষ্টের পরিমাণ আরও বেশি বেড়ে যায় যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের নিজেদের হলগুলোতে শুধু অফিস ব্যতীত আর কোথাও যেতে দেওয়া হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ব্যতীত বাকি প্রতিটি জায়গায় খাবারের দাম চড়া। যা আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের জন্য এক প্রকারের শাস্তি। বুয়েট, ঢামেক ও ইডেনসহ প্রায় প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের হলে ঢুকে নিজের খাবারটুকু কেনার অনুমতি রয়েছে। হলের কিছু কিছু কর্মচারীদের ব্যবহার অত্যন্ত দৃষ্টিকটু ও হৃদয় বিদারক। অতএব, আমরা এই রমজান মাসের ইফতার ও রমজান পরবর্তী সময়ে নিজ নিজ হল ক্যান্টিন থেকে খাবার ক্রয়ের অনুমতি চাই।


আরও সংবাদ

জরুরি হটলাইন