• শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:২৪ পূর্বাহ্ন

ইউএনও অফিসের পরিচ্ছন্নতাকর্মী হঠাৎ আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ

নিজস্ব প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিনিধি / ৯৬
বুধবার, ২০ মার্চ, ২০২৪
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৯১১৬৫২৫৭০ (হোয়াটসঅ্যাপ)

মাহমুদুন্নবী
নওগাঁ প্রতিনিধি

পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ের পরিচ্ছন্নতাকর্মী মো: আলিফ হোসেন রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হবার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের সূত্রে প্রতিবেদকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, বাবার জমি প্রায় ৩০ শতাংশ। সমাজের বুকে অস্বচ্ছল পরিবার হিসাবেই চিনতো সবাই। হঠাৎ ছেলে মাষ্টার রুলে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসাবে নিয়োগ পায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ে। মাসিক আট হাজার টাকায় চাকরী পাবার পর পরিবারটি কোন রকম ভাবে স্বচ্ছলতা ফিরে পায়। বর্তমান মাসিক বেতন পায় প্রায় ১৭ হাজার টাকা। বেতন বাড়ার সাথে সাথে বাবা মায়ের সাথে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে আলাদা সংসার গড়ে তোলেন আলিফ হোসেন। বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধোগতির বাজারে স্ত্রী, সন্তান নিয়ে সংসার পরিচালনা করার পরেও ৬ শতাংশ জমি ক্রয় করে প্রায় ৩৫/৪০ লক্ষ টাকা ব্যয় করে আলিশান একটি বাসা, প্রায় ১০-১২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ৭-৮ বিঘা জমি বন্ধক নেওয়া, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার পরিবারে দুটি সরকারি সাবমার্সিবল ( মটার ) ও সরকারি টিউবয়েলসহ প্রায় অর্ধ কোটি টাকার মালিক বণে গেছেন তিনি খুব অল্প সময়ে। মানুষ যখন টিসিবি কার্ডের জন্য এদিক ওদিক ছুটাছুটি শুরু করে তখন আলিফ হোসেন নিজেই একাধিক কার্ড ব্যবহার করে, গবীর অসহায়ের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিডি ( মাসিক ৩০ কেজি সরকারি চাল ) কার্ডও আছে তার পরিবারে। সব মিলিয়ে ইউএনও নাম ভাঙ্গিয়ে সমাজের বুকে বর্তমানে একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি এই আলিফ হোসেন।
আলিফ হোসেন এর প্রতিবেশী বকুল হোসেন, ইলিয়াস আহম্মেদ বলেন, এই তো সেদিন আলিফ কে অন্যের বাড়িতে কাজ করতে দেখলাম। আর আজ দেখি সে প্রায় কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছে। ইউএনও অফিসে পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করে বুঝি সে মাসে লাখ টাকা বেতন পায়। যদি লাখ টাকা বেতন না পেতো তাহলে আজ সে এতো টাকার মালিক হলেন কিভাবে। চোখের আলিফ প্রায় কোটিপতি হয়ে গেছে। গ্রামে কারো সাথে দুকথা হলে ইউএনও ভয় দেখায়। আবার দেখি এখানে ওখানে বলে আমি ইউএনও খুব কাছের লোক। আপনার এই কাজটি আমি মূহত্বের মধ্যেই করে দিবো। এক কথায় বলা যায় সব সময় ইউএনও নাম ভাঙ্গিয়ে চলে।
আবুল হোসেন, খাইরুল ইসলাম, শামীম রেজা ও আব্দুর রাজ্জাক বলেন,আমাদের পারিবারিক সম্পত্তি আমাদের কাউকে না জানিয়ে আলিফ এককভাবে আমিন নিয়ে এসে জমি মেপে রাস্তার উপরে বাশের প্রাচীর গড়ে তুলেছে। আমরা সবাই প্রতিবাদ করতে গেলে তিনি সরসরি বলেন, বেশি বাড়াবাড়ি করলে এখানে ইউএনও কে নিয়ে এসে বসে থেকে তোদের বিচার করবো।

অভিযুক্ত আলিফ হোসেন বলেন, আমি আমার আয় রোজগারের মাধ্যমেই দের দুই লাখ টাকা করে ৭-৮ বিঘা জমি বন্ধক নিয়েছি এবং বাসা করেছি। একটি মহল নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য আমার বিরুদ্ধে লেগেছে। শুরুতে ৮ হাজার যা পর্যায়ক্রমে এখন ১৭ হাজার টাকা বেতনে এতোকিছু কিভাবে সম্ভব এমন প্রশ্নের কোন উত্তর দিতে পারেনি আলিফ হোসেন।

এবিষয়ে পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও ) মোছা: পপি খাতুন বলেন, আমি এই বিষয়গুলো অবগত আছি। সুনিদিষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতেই তার ( পরিচ্ছন্নতাকর্মী আলিফ হোসেন ) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 


আরও সংবাদ

জরুরি হটলাইন