• রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ১২:৫৭ পূর্বাহ্ন

রাজশাহীতে ৩৫ কিশোরকে মুক্তি দিলেন আদালত

নিজস্ব প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিনিধি / ১১২
সোমবার, ২৫ মার্চ, ২০২৪
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৯১১৬৫২৫৭০ (হোয়াটসঅ্যাপ)

সংশোধনের জন্য প্রবেশনে থাকা ৩৫ কিশোর আর কোনো অপরাধে না জড়ানোয় তাদের হাতে ফুল ও জাতীয় পতাকা দিয়ে চূড়ান্ত মুক্তি দিয়েছেন রাজশাহীর শিশু আদালত-২। সোমবার (২৫ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে আদালতে এই কিশোরদের মামলাগুলোর চূড়ান্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় প্রবেশনে থাকার সময় সন্তোষজনক আচরণ থাকায় আদালতের বিচারক মুহা. হাসানুজ্জামান তাদের চূড়ান্ত মুক্তি দেন।আদালত সূত্রে জানা গেছে, এসব কিশোরের কারও বিরুদ্ধে ছিল মারামারির অভিযোগ, কেউ ঘটিয়েছিল শ্লীলতাহানি। আবার মাদক সেবন কিংবা পরিবহনে চাঁদাবাজিতেও জড়িয়ে পড়েছিল কোনো কোনো কিশোর।আদালতে অভিযোগ প্রমাণিত হলেও তাদের কারাগারে না পাঠিয়ে প্রবেশনের মাধ্যমে সংশোধনের সুযোগ দিয়েছিলেন আদালত। এ জন্য বই পড়া, বাবা-মায়ের সঙ্গে ভালো ব্যবহার, অভিযোগকারীর সঙ্গে বিরোধ নিষ্পত্তিসহ বেশকিছু শর্তও দেওয়া হয়েছিল।জেলা প্রবেশন কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান জানান, শিশু আইন-২০১৩ শিশুদের সর্বোচ্চ স্বার্থ সংরক্ষণ করেছে। এই আইনের ৪৮ ধারায় শিশুদের অপরাধের জন্য তাদের কারাগারে না পাঠিয়ে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির সুযোগ আছে। এ আইনের ৩৭ ধারায় অভিযুক্ত শিশু ও অভিযোগকারী পক্ষের সঙ্গে আলোচনার সুযোগ রয়েছে প্রবেশন কর্মকর্তার। সে আইন অনুযায়ী অভিযোগকারীর সঙ্গে শিশুদের বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি করা হয়েছে।

 

 

আদালত এই কিশোরদের কারাগারে না পাঠিয়ে সংশোধনের জন্য প্রবেশন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন মেয়াদে প্রবেশন দিয়েছিলেন।বাড়িতে থেকে তাদের বই পড়া, বাবা-মায়ের সঙ্গে সুন্দর আচরণ, একই অপরাধ আবার না করা কিংবা কোনো অপরাধেই না জড়ানোসহ বেশ কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছিল।প্রবেশন কর্মকর্তা দুই মাস পর পর তাদের কার্যক্রমের ওপর আদালতে প্রতিবেদন দিয়েছেন। এমন তিনটি প্রতিবেদনের পর প্রবেশন কর্মকর্তা একটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছেন। সেই প্রতিবেদনের ওপর শুনানি করে শিশুদের চূড়ান্ত মুক্তি দেওয়া হয়।আদালত থেকে বের হওয়ার সময় আদালতের পক্ষে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শামসুন্নাহার মুক্তি ও জেলা প্রবেশন কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান তাদের হাতে একটি করে গোলাপ ও রজনীগন্ধা ফুল তুলে দেন। এ ছাড়া তাদের একটি করে কাগজের জাতীয় পতাকা দেওয়া হয়। আদালতের এমন উপহার পেয়ে তারা খুশিমনে বাবা-মায়ের সঙ্গে বাড়ি ফেরে তারা।


আরও সংবাদ

জরুরি হটলাইন