• শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১০:৫৯ অপরাহ্ন

সারারাত রসুনক্ষেত পাহারায় কৃষক, শিয়ালের কামড়ে আহত ১০

নিজস্ব প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিনিধি / ৭৭
মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ, ২০২৪
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৯১১৬৫২৫৭০ (হোয়াটসঅ্যাপ)

সাদা সোনা খ্যাত রসুন চাষে স্বপ্ন পূরণের আশায় দিন গুনছেন উত্তরের জেলা দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার রসুন চাষিরা। গত বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় রসুনের ফলন ভালো হয়েছে। তবে ক্ষেতের রসুন চুরি হওয়ায় আশঙ্কায় রাত জেগে নিজেদের উৎপাদিত রসুনক্ষেত পাহারা দিচ্ছেন তারা। রাতে পাহারা দিতে গিয়ে এ পর্যন্ত উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১০ জন কৃষক শিয়ালের কামড়ে আহত হয়েছেন।উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে রসুন চাষ হয়েছে ১৬২০ হেক্টর। যা গতবছরে ছিল ১৫০০ হেক্টর। কৃষি বিভাগের পরামর্শে রসুনের আবাদ বৃদ্ধি হয়েছে।সোমবার (২৫ মার্চ) রাতে উপজেলার কাচিনীয়া, হাসিমপুর, গোয়ালডিহি ও নলবাড়ী গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, রসুনক্ষেতের পাশে পলিথিন দিয়ে অস্থায়ী ঘর তৈরি করে কৃষকরা সেখানে করছেন রাত্রিযাপন। চোখে ঘুম নেই তাদের, রাত জেগে টর্চ লাইটের আলোয় রসুন ক্ষেত পাহারা দিচ্ছেন তারা। কিন্তু বর্তমান সময়ে শিয়ালের উপদ্রপ হওয়ায় তারা আছেন মহা আতঙ্কে। ঈদুল ফিতরের আগেই রসুন ঘরে তোলার কাজ শেষ হবে বলে জানান কৃষকরা।

গোয়ালডিহি জমির শাহপাড়ার রসুন চাষি রিশাদ শাহ কালবেলাকে বলেন, ৫০ শতকের প্রতি বিঘা জমিতে রসুন চাষে বীজ, সার, সেচ, হাল ও পরিচর্যা বাবদ এ বছর খরচ হয় প্রায় ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত। এবার বীজের দাম বেশি হওয়ায় খরচটা একটু বেড়ে গেছে। আর প্রতি বিঘায় ফলন হয় ৫৫-৭০ মণ। প্রতি মণের বর্তমান বাজারমূল্য ৩০০০-৩৫০০ টাকা। সে হিসেবে অন্য আবাদের চেয়ে রসুন চাষ লাভবান বলে তিনি জানান।গোয়ালডিহি গ্রামের রসুন আশরাফ আলী কালবেলাকে জানান, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রসুন চাষে খরচ ও শ্রম বেড়েছে। কিন্তু এত কষ্টে আবাদ করেও চোরের চিন্তায় রাত জাগতে হয়। কেননা রসুন খুবই দামি ফসল তাই পাহারা দিচ্ছি।মনির জীবন নামে এক যুবক তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, আমাদের গ্রামে ৩ জনসহ আশেপাশের গ্রামে ১০ জন কৃষককে শেয়াল কামড়ানোর খবর শুনলাম। অর্ধেক নাক ছিঁড়ে নেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। এক দিকে রাতের আঁধারে জমির ফসল চুরি অন্যদিকে দিনে দুপুরে শিয়ালের উৎপাত। কৃষক যেন কোনো কিছুতেই স্বস্তি পাচ্ছে না এখন।

 

উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা হাবিবা আক্তার কালবেলাকে বলেন, আবহাওয়া ভালো হওয়ায় চলতি মৌসুমে ভালো ফলন ও বর্তমান বাজারে রসুনের দাম বেশি পাওয়ার মাধ্যমে কৃষকরা লাভবান হবেন। চুরি রোধে কৃষকরা দিনে ও রাতে পাহারা দিচ্ছে শুনেছি। শিয়ালের কামড়ের বিষয়টি স্থানীয় কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তার মাধ্যমে জানতে পেরেছি।এ বিষয়ে থানা ওসি মোজাহারুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন- থানা পুলিশ, গ্রাম পুলিশ ও রাত্রিকালীন পাহারাদাররা চুরি রোধে নিয়মিত টহল দিচ্ছে। এদের সঙ্গে জনগণের সচেতন ভূমিকা চুরি রোধ ও অপরাধ কমাতে অনেক কার্যকর হবে।


আরও সংবাদ

জরুরি হটলাইন