• রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৫:৩২ পূর্বাহ্ন

দিনাজপুরে স্বস্তি ফিরেছে সবজির বাজারে

নিজস্ব প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিনিধি / ৭৫
মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ, ২০২৪
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৯১১৬৫২৫৭০ (হোয়াটসঅ্যাপ)

পর্যাপ্ত পরিমাণ সবজি সরবরাহ থাকায় স্বস্তি ফিরেছে বাজারে। সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে সব ধরনের কাঁচা সবজির দাম। তবে দাম কমেনি মাছ-মাংস-ডিম ও মুদিমালের। সবজিতে স্বস্তি ফিরলেও অন্যান্য জিনিসের দাম না কমায় অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ কর্মজীবী মানুষের।মৌসুমের শুরুতে চড়া দামে বিক্রি হলেও গত সপ্তাহ থেকে কমতে শুরু করে সবজির দাম। এ ছাড়া উচ্চমূল্যে স্থির হয়ে থাকা মাছ-মাংস-ডিম ও চালের মতো নিত্যপণ্যের দাম ঈদকে সামনে রেখে আরেক দফা বাড়বে বলে ক্রেতাদের আশঙ্কা।দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট পৌর শহরের পুরাতন বাজার, আজাদমোড়, ওসমানপুরসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন সবজির দাম কেজিতে পাঁচ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। এখন শিম ও মুলা ২০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, বেগুন ১০ টাকা, টমেটো ৩০ টাকা, শসা ৪০ টাকা. কাঁচামরিচ ৪০, কচুরলতি ৬০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, করলা ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ফুলকপি প্রতি পিস ২০ টাকা ও বাঁধাকপি ১০ টাকা, লাউ ২০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৫৫ টাকা, দেশি রসুন ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, চায়না রসুন ২০০ থেকে ২১০ টাকা, দেশি আদা ২০০ থেকে ২১০ টাকা, মিয়ানমার থেকে আসা আদা ১৮০ টাকা ও জিরা ৭০০ থেকে ৭২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।কমেনি মাছ-মাংসের দাম। রয়ে গেছে আগের মতোই চড়া। গরুর মাংস ৭০০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৮০ টাকা, সোনালিকা ৩০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। ফার্মের লাল ডিমের ডজন ১২৬ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দামের কোনো পরিবর্তন নেই। রুই আকারভেদে কেজি ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা, পাঙাশ ১৮০-২০০, তেলাপিয়া ১৬০-২২০, সিলভার ১৬০-২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।আটাশ চালের কেজি ৫২ থেকে ৫৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। যা কিছুদিন আগেও ৪৮-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। মিনিকেট চালের দাম কেজিতে ৩ থেকে ৪ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৪ টাকায়। গুটি স্বর্ণ গত সপ্তাহে ছিল ৪৫ টাকা। বর্তমানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ টাকা।

 

বাজারে আসা নূর মোহাম্মদ রিমন কালবেলাকে বলেন, কয়েকদিন আগেও দাম বাড়তি থাকায় দুয়েকটি সবজির বেশি কেনার সাহস পেতাম না। এখন দাম কমে এসেছে। তবে মাছ-মাংস-ডিম-চাল ও মুদিমালের দাম বেশি। এসবের দাম কমলে ভালো হতো।সবজি বিক্রেতা আকতানুর বলেন, বাজারে সরবরাহ বেশি হওয়ায় সবজির দাম কমেছে। উৎপাদনের পাশাপাশি সরবরাহ ভালো আছে।হাবিবুর রহমান নামে এক ক্রেতা বলেন, এক মাসে আগেও ৫০০ টাকা নিয়ে বাজারে এলে কয়েকটি সবজি কেনা যেত। এখন সবজির দাম কমে যাওয়ায় ভালো লাগছে। সবজির দাম কমে আসলেও অন্যান্য জিনিসের দাম কমেনি। ঈদকে সামনে রেখে আবারও মুদিমালের দাম বাড়তে পারে। এতে সাধারণ মানুষের কষ্ট হবে।পৌর শহরের পুরাতন বাজারের ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন বলেন, এক মাসের ব্যবধানে বাজারে সবজির দাম প্রায় অর্ধেকে নেমেছে। মাসখানেক আগেও দাম চড়া ছিল। তবে মাছ-মাংস-ডিম-চাল ও মুদিমালের বাজার বাড়তি।


আরও সংবাদ

জরুরি হটলাইন