ঈদযাত্রা শুরু হয়েছে। শহর ছাড়তে শুরু করেছে ঘরমুখো মানুষ। এ প্রেক্ষিতে যাত্রীদের নিরাপত্তা ও যানজট নিরসন নিয়ে কথা বলেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি)।ডিএমপি বলেছে, ঈদযাত্রায় ঢাকার প্রবেশ ও বাহির পথ স্বাভাবিক রাখতে ঢাকা ট্রাফিক বিভাগ সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। এজন্য পার্শ্ববর্তী সব পুলিশ ইউনিটের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এ ছাড়াও সড়কে যাতে ফিটনেসবিহীন যানবাহন না আসতে পারে সেজন্য গ্যারেজগুলোতে নজরদারি রাখা হচ্ছে বলেও জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার মো. মুনিবুর রহমান এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, ঈদ উপলক্ষে অন্তত এক থেকে সোয়া কোটি মানুষ ঢাকা ছাড়বে। বাসের ট্রিপগুলো ঠিক সময়ে দিতে পারলে শিডিউল বিপর্যয় এড়ানো যায়। শিডিউল বিপর্যয় হলেই রাস্তায় অনেক মানুষ দাঁড়িয়ে থাকে। তখনই সমস্যার সৃষ্টি হয়।তিনি বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের শেষ মুহূর্তে একসঙ্গে ছুটি হয়। লাখ লাখ মানুষ একসঙ্গে বাড়িতে রওনা হয়। তখন কিছুটা ভোগান্তি দেখা যায়। আশা করি অন্যান্য বছরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবার ভালো সেবা দিতে পারব।ফিটনেসবিহীন গাড়ি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এসব গাড়ির বিরুদ্ধে ডিএমপির অভিযান একটি চলমান প্রক্রিয়া। ট্রাফিক বিভাগ নিয়মিত গাড়ির কাগজ-যাচাই করে ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। অনেক ভালো গাড়ির ফিটনেস থাকে না আবার দেখতে ভাঙাচোরা মনে হলেও দেখা যাচ্ছে সেই গাড়ির ফিটনেস থাকে।
ডিএমপি ট্রাফিক প্রধান বলেন, বর্তমানে হাইওয়ে পুলিশ অনেক ডেভেলপ হয়েছে। হাইওয়ে পুলিশের যদি সমন্বয়টা ভালো করতে পারে, এন্ট্রি-এক্সিটে সমস্যা না হলে এবার খুব একটা সমস্যা হওয়ার কথা না।তিনি বলেন, ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে আমাদের সবসময় পদক্ষেপ থাকে। রেকার, ডাম্পিং গ্রাউন্ড, জনবল রয়েছে। অনেক সময় ফিটনেস ভালো থাকলেও অযাচিত যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এমন আশঙ্কা থেকে বিভিন্ন পয়েন্টে আমাদের ব্যবস্থা থাকে।এ ছাড়াও দূরপাল্লার গণপরিবহনগুলো মহানগরীর মধ্যে যাত্রী উঠানামার কাজ করবে না। গণপরিবহনগুলো নির্ধারিত সংখ্যার অতিরিক্ত যাত্রী বহন করবে না। বিশেষ করে ছাদে কোনো যাত্রী ঝুঁকি নিয়ে যাবে না বলে তিনি জানান।