আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে বিশেষভাবে ট্রেন পরিচালনা করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) ঈদযাত্রার তৃতীয় দিন। গত বুধবার থেকে শুরু হয়েছে ট্রেনে আগাম টিকিটের ট্রেনযাত্রা। গত দুদিনের তুলনায় আজ যাত্রীচাপ কিছুটা বেড়েছে। প্রতিটি ট্রেনই যথা সময়ে ছেড়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে।
এ দিন উৎসবমুখর পরিবেশে স্বস্তি নিয়েই যাত্রীদের ট্রেনে চড়ে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। এছাড়া যাত্রীদের নিরাপত্তায় কমলাপুর স্টেশনে মোতায়েন রয়েছে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর বিপুল সদস্য।
ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, প্রধান সড়ক থেকে স্টেশনে প্রবেশের মুখেই অপ্রয়োজনীয় গাড়িগুলোকে নিবেদন করছে রেলের নিরাপত্তা কর্মীরা। শুধু যেসব গাড়িতে যাত্রী রয়েছে সেইসব গাড়িগুলোকে স্টেশন এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।
যাত্রীরা জানান, স্টেশনে এখন কোনো ভিড় নেই। কিন্তু ট্রেন ছাড়ার পর অন্য স্টেশনে যখন দাঁড়াবে সেখানে কেমন ভিড় হবে তা বুঝা যাচ্ছে না। আশা করছি অন্তত ভালো একটা যাত্রা হবে।
যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবারের ঈদযাত্রায় এখন পর্যন্ত কোনো ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি। অনলাইনের টিকিটও পাওয়া গেছে অনেকটা সহজেই। ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকেও ট্রেনে উঠতে ও নিজ আসনে পৌঁছাতে কোনো বেগ পোহাতে হয়নি।
গত দু’দিনের মতো আজও কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের প্রবেশ মুখে অপ্রয়োজনীয় গাড়িগুলো আটকে দেয়া হচ্ছে। প্ল্যাটফর্মে প্রবেশেও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে না যাত্রীদের। প্রবেশপথে টিটিই টিকিট চেক করে যাত্রীদের প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন। এতে যাত্রী ছাড়া অন্য কেউ এবার প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতে পারছে না। যা স্বস্তির কারণ হয়েছে যাত্রীদের কাছে।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা বলছেন, প্ল্যাটফর্ম এলাকায় টিকিটবিহীন কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। এতে ভিড় কিছুটা কম। যারা আছে, সবাই যাত্রী। এতে করে প্ল্যাটফর্ম চত্বরের পরিবেশ ভালো আছে।
ট্রেন যাত্রায় যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে প্ল্যাটফর্ম এলাকায় প্রবেশের মুখে র্যাব, পুলিশ এবং রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে।