স্টাফ রিপোর্টার-"বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট এজেন্সী মালিক সমিতি'র প্রহসনের নির্বাচন বন্ধ করে পুণরায় সাধারণ সভা আহবান করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা সংক্রান্ত আবেদনের প্রেক্ষীতে বাংলাদেশ শ্রম আইন ও বিধি এবং সমিতি'র বিদ্যমান গঠনতন্ত্র অনুসরণ পূর্বক অভিযোগ সমূহ নিস্পত্তি করে সমিতি'র কার্যনির্বাহী কমিটি'র নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন- মোঃ মিজানুর রহমান(পরিচালক ও রেজিস্ট্রার অব ট্রেড ইউনিয়ন্স,বিভাগীয় শ্রম দপ্তর,খুলনা)।
১৮ এপ্রিল/২০২৪ ইং তারিখ তার স্বাক্ষরিত এক আদেশ নামায় বলা হয়েছে-সমিতি'র সদস্য মোঃ আল মামুন(ভোটার নং-৪০১) সহ কতিপয় সাধারণ সদস্য কর্তৃক স্বাক্ষরিত পত্রে অত্র দপ্তরকে অবহিত করে যে, বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট এজেন্সী মালিক সমিতি'র কার্যনির্বাহী কমিটি গত ৩১ মার্চ ২০২৪ ইং তারিখে ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ইহাতে কোন এজেন্ডা বা সাধারণ সভার নোটিশ প্রদান করা হয় নাই। ইফতার অনুষ্ঠা্নে যোগদানের পর সমিতি'র সদস্যগণ জানতে পারে,কার্যনির্বাহী কমিটি'র নির্বাচন করা হবে। ইফতার অনুষ্ঠানের সাথে সাধারণ সভা করা হবে,তা কোন সদস্য জানেন না। এ বিষয়ে সভায় উপস্থিত সদস্যগণ প্রতিবাদ জানালেও তাদের বক্তব্যে কর্ণপাত করা হয়নি। সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের জন্য সমিতি'র গঠনতন্ত্রের ২৩(খ) ধারা মোতাবেক ১০ দিন পূর্বে নোটিশ করার বিধান থাকলেও তা মানা হয় নাই এবং কেহ হাজিরায় স্বাক্ষর করেনি মর্মে পত্রে উল্লেখ করেন।
অভিযোগকারী জয়নাল আবেদীন(ভোটার নং-৫১৩) স্বাক্ষরিত অন্য এক অভিযোগ হতে জানা যায় গঠিত নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গত ১৪ এপ্রিল সরকারি ছুটির দিন তড়িঘড়ি করে মনোয়নপত্র বিক্রির দিন অভিযোগকারী প্যানেল করে নির্বাচন করতে চাইলে,তার নিকট প্যানেলের মনোনয়ন পত্র বিক্রি করা হয়নি। এমতাবস্থায়,নির্বাচন পরিচালনা কমিটি'র উপর তার কোন আস্থা নেই এবং উক্ত নির্বাচন পরিচালনা কমিটি'র অধীনে নির্বাচন করা তার পক্ষে সম্ভব নয়। তাছাড়া ঘোষিত নির্বাচন তফসিলে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি'র ভূল মোবাইল নাম্বার প্রদান করা হয়েছে। ফলে গঠিত নির্বাচন পরিচালনা কমিটি'র সহিত কেহ যোগাযোগ করতে পারছে না।
সমিতি'র কার্যনির্বাহী কমিটি'র আসন্ন নির্বাচন সকল সদস্যদের অংশ গ্রহণের মাধ্যমে অবাধ,সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের স্বার্থে পুণরায় সাধারণ সভা আহবান করে গঠনতন্ত্রের সংশ্লিষ্ঠ ধারা অনুসরণ পূর্বক নতুন নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করে পরিচালক ও রেজিস্ট্রার অব ট্রেড ইউনিয়ন্স এর তত্বাবধানে নির্বাচনের পরবর্তী কার্যক্রম করার জন্য এ দপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
স্বাক্ষরিত আদেশ নামায় আরও জানানো হয়েছে যে,প্রাপ্ত অভিযোগ ও নির্বাচন সংক্রান্ত রেকর্ড দৃষ্টে দেখা যায় নির্বাচন সংক্রান্ত সাধারণ সভা আয়োজনে গঠনতন্ত্রের সংশ্লিষ্ঠ ধারার বিধান প্রতিপালণ করা হয় নাই। নির্বাচন সংক্রান্ত সাধারণ সভার নোটিশ যথা সময়ে বিভাগীয় শ্রম দপ্তর,খুলনায় প্রেরণ করেননি,বিধায় অনুচ্ছেদ-২ এ বর্ণিত বিধান অনুযায়ী নির্বাচন সংক্রান্ত সাধারণ সভা এ দপ্তর কর্তৃক তত্বাবধায়ণ করা সম্ভব হয়নি। এ ছাড়াও সার্বিক রেকর্ড দৃষ্টে প্রতীয়মান হয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠনে সমিতি'র সাধারণ সদস্যদের মতামত গ্রহণ করা হয়নি এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে সমিতি'র সাধারণ সদস্যগণ পর্যাপ্ত সুযোগ পায়নি।
অতএব,বাংলাদেশ শ্রম আইন,২০০৬( সংশোধিত-১৮) এর ৩১৭(৪)(ঘ) ধারা এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন নং-৭৩৭২/২০১১ এবং ৪৩১৬/২০১৪ এর ৮/৭/২০১৪ ইং তারিখের আদেশ মোতাবেক ট্রেড ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী কমিটি'র নির্বাচন পরিচালক ও রেজিস্ট্রার অব ট্রেড ইউনিয়ন্স এর তত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হওয়া আবশ্যক বলে বিভাগীয় শ্রম দপ্তর,খুলনা জানিয়েছে।