• বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ১০:০৭ অপরাহ্ন

তীব্র গরমে হাতপাখা বিক্রির হিড়িক

নিজস্ব প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিনিধি / ৬৭
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৯১১৬৫২৫৭০ (হোয়াটসঅ্যাপ)

তীব্র গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত। তার ওপর আবার ঘন ঘন লোডশেডিং। ফলে গরমে হাঁসফাঁস অবস্থায় কলাপাড়া উপজেলার কর্মব্যস্ত মানুষ। অতিষ্ঠ গরম থেকে রক্ষা পেতে শহরে হাত পাখা কেনার ধুম পড়েছে।

শহরের অলিগলিতে বিভিন্ন সিজনাল ব্যবসায়ীদের ঘুরে ঘুরে হাত পাখা বিক্রি করতে দেখা যায়। প্রতি হাত পাখা ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি করছেন তারা। যদিও গত বছর এই পাখা ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হতো।

জানা গেছে, কেওয়া পাতা দিয়ে এক বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি এই হাতপাখা গ্রামীণ জনজীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। সুদীর্ঘকাল থেকে বৈদ্যুতিক পাখার বিকল্প হিসেবে তালপাখার জুড়ি নেই। কেওয়াপাতা কেটে রোদে শুকিয়ে বাঁশের শলা ও সুতা দিয়ে এক বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি করা হয় এই হাতপাখা।

পাখা বিক্রেতা আবদুল কাদের বলেন, ‘আমি কাজের ফাঁকে গরমের সিজনে তিন বছর ধরে হাতপাখা বিক্রি করছি। গত কয়েক বছরের চেয়ে এই বছর অনেক বেশি পাখা বিক্রি হয়েছে। এতে আর্থিক বেশ লাভ হয়েছে।’

নতুন বাজারের বাসিন্দা আহাল উল্লাহ মাওলানা জানান, দিন কিংবা রাতের বেলায় বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং হওয়ার কারণে আমরা ছেলে-মেয়ে নিয়ে ঘরের ভেতরে থাকতে পারি না। তাই ফ্যানের বিকল্প হিসেবে আমরা নিরুপায় হয়ে হাতপাখা কিনছি।

ব্যবসায়ী বাসুদেব জানান, বৈদ্যুতিক পাখার বিকল্প হিসেবে হাতপাখা ব্যবহার করেন তারা। পাশাপাশি ২০ টাকার পাখা ৪০ টাকায় বিক্রি হওয়ায় সুলভ মূল্যে পাখা কেনা অনেক কঠিন হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের।

খেপুপাড়া সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস কলেজের প্রভাষক আবু ইউসুফ বলেন, লোডশেডিংয়ের এই বিরূপ পরিবেশ শীতল করতে হাতপাখার জুড়ি নেই। তাই এই গরমে হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল শিশু, রোগাক্রান্ত ব্যক্তিদের স্বস্তি দিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে সুলভ বা বিনামূল্যে জনপ্রতি একটি করে হাতপাখা ও খাবার স্যালাইন দেওয়ার আহ্বান জানাই।


আরও সংবাদ

জরুরি হটলাইন