• বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ১০:০৪ অপরাহ্ন

ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ দিনাজপুরের জনজীবন

নিজস্ব প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিনিধি / ৬৬
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৯১১৬৫২৫৭০ (হোয়াটসঅ্যাপ)

দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় হঠাৎ লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। একদিকে বৈশাখের তীব্র তাপপ্রবাহ, অন্যদিকে ঘনঘন লোডশেডিংয়ের জাঁতাকলে অতিষ্ঠ জনসাধারণ। দিনে রাতে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকছে না। বিঘ্ন হচ্ছে হাটবাজার ও শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা। দিনে তাপমাত্রা বেশি হওয়ার কারণে সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছেন দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ। ইরি বোরো আমনের ক্ষেতে সেচ দিতে সংকটে পড়েছেন কৃষকরা।

লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ বাসিন্দারা বলেন, কয়েক দিন ধরে দিনে রাতে চলছে বিদ্যুতের ভেলকিবাজি। ক্লান্ত শরীরে রাতে ঘুমাতে গেলেই বিদ্যুৎ চলে যায়। এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর আসে। এরপর আধা ঘণ্টা কিংবা এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। দিনরাতে কয়েক দিন ধরে এভাবেই চলছে বিদ্যুতের যাওয়া আসা। দিনে বিদ্যুৎ থাকে না তাই ভ্যাপসা গরমে ঘরে টিকে থাকাও যায় না।

 

এদিকে গরমের তীব্রতায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকেই। গরমের মধ্যে বিদ্যুৎ না থাকলে দুর্ভোগে হয় আরও তীব্রতর। দিনরাত মিলিয়ে এক টানা দেড় ঘণ্টাও বিদ্যুৎ থাকছে না। ফলে দুর্ভোগে বাড়ছে। ঘন ঘন লোডশেডিং এবং প্রচণ্ড দাবদাহের কারণে হাটবাজারে লোকসমাগমও কমে গেছে। বিপণিবিতানগুলোও থাকছে ক্রেতাশূন্য।

দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জিএম বিপুল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, প্রচণ্ড দাবদাহে সারাদেশে লোড বৃদ্ধি পেয়েছে। উৎপাদন কমে যাওয়ায় চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হচ্ছে। এ কারণেই ঘন ঘন লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। আমাদের উপজেলায় ১২ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদার বিপরীতে পাচ্ছি মাত্র ৫-৬ মেগাওয়াট। এই অবস্থায় লোডশেডিং দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। আশা করি, দ্রুত সমস্যা সমাধান হবে।

বিপুল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র গ্রিড থেকে দুটি ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়, এখন একটি চালু আছে আর একটি বন্ধ আছে। এ অঞ্চলে ৮৭ শতাংশ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকলে কোনো লোডশেডিং হতো না। সেখানে আমরা ৬১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছি, ফলে লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। আমরা পল্লী বিদ্যুৎ নিজে উৎপাদন করতে পারি না, পিডিপির কাছ থেকে ৬.৫৬ টাকা প্রতি ইউনিট কিনে নিয়ে ৫.২৫ টাকায় বিক্রি করি।


আরও সংবাদ

জরুরি হটলাইন