মাগুরার শ্রীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাত নয়টার দিকে উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের নবগ্রাম বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় এক প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা এবং উভয় পক্ষের ১০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।

মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শরিয়তউল্লাহ হোসেন মিয়া ও ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম এম মোতাসিম বিল্লাহর সমর্থকদের মধ্যে ওই সংঘর্ষ হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বুধবার রাতে নবগ্রাম বাজারে মোটরসাইকেল প্রতীকের একটি নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়। এর কিছুক্ষণ পর ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর এম এম মোতাসিম বিল্লাহর  সমর্থকেরা ওই নির্বাচনী কার্যালয়ের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় স্লোগান দেন। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে কথা–কাটাকাটি এবং সংঘর্ষ শুরু হয়।

চেয়ারম্যান প্রার্থী শরিয়তউল্লাহ হোসেন মিয়ার অভিযোগ, বুধবার রাতে নবগ্রাম বাজারে নিজেদের নির্বাচনী কার্যালয় অবস্থান করছিলেন তাঁর সমর্থকেরা। এমন সময় মোতাসিম বিল্লাহর সমর্থকেরা গয়েশপুর ইউপির চেয়ারম্যান হালিম মোল্যার নেতৃত্বে নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করেন। এতে তাঁর বেশ কয়েকজন সমর্থক আহত হয়েছেন।

এ অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন গয়েশপুর ইউপির চেয়ারম্যান আবদুল হালিম মোল্যা। তিনি বলেন, ‘মোটরসাইকেল প্রতীকের নির্বাচনী কার্যালয়ের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। তাঁরা আমাদের বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।’

একই ধরনের বক্তব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী এম এম মোতাসিম বিল্লাহর। তিনি বলেন, ‘মিছিল যাওয়ার সময় আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা করা হয়। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।’

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ তাসমীম আলম  বলেন, দুই পক্ষের মিছিল এবং শোডাউনকে (মহড়া) কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা ১০টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। আর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে আটক করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ করেনি।

৮ মে প্রথম দফায় হতে যাওয়া শ্রীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁদের সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।