• বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ০৫:০৮ অপরাহ্ন

১৩ বছরের কম বয়সিদের হাতে স্মার্টফোন নয় : গবেষণা

মুহাম্মাদ শিমুল হুসাইন
মুহাম্মাদ শিমুল হুসাইন / ১৬৭
রবিবার, ৫ মে, ২০২৪
প্রতীকী ছবি।
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৯১১৬৫২৫৭০ (হোয়াটসঅ্যাপ)

১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের হাতে স্মার্টফোন তুলে দেয়া উচিত নয় এবং ১৮ বছর বয়সের আগে শিশুদের ইনস্টাগ্রাম, টিকটক ও স্ন্যাপচ্যাটের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমও ব্যবহার করতে দেয়া যাবে না।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর নির্দেশে দেশটিতে এমন এক নীতিমালা তৈরি করেছেন বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত জানুয়ারিতেই ম্যাঁক্রো ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ফ্রান্সের শিশুদের স্মার্টফোন ব্যবহার বন্ধে যে নজিরহীন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। তখন তিনি বলেছিলেন, শিশুদের স্মার্টফোনের ব্যবহার নিষিদ্ধ বা সীমিত করা হতে পারে।

গত জানুয়ারিতেই ফ্রান্সের শিশুদের স্মার্টফোন ব্যবহার বন্ধের বিষয়ে ইঙ্গিত দেন ম্যাক্রো। তখন তিনি বলেছিলেন, শিশুদের স্মার্টফোনের ব্যবহার নিষিদ্ধ বা সীমিত করা হতে পারে।

গবেষকরা বলেছেন, মুনাফালোভী প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর মনোযোগ আকর্ষণ করার কৌশল থেকে শিশুদের রক্ষা করতে হবে। কোম্পানিগুলো শিশুদের পছন্দের বিষয়গুলো দেখিয়ে তাদের মনোযোগ স্মার্টফোনে আটকে রাখে। প্রযুক্তি বাজারে শিশুদের ‘পণ্য’ হিসেবে দেখা হয়।

প্রতিবেদনে গবেষকরা বলেন, আমরা প্রযুক্তি শিল্পকে জানাতে চাচ্ছি, শিশুদের সঙ্গে তারা যা করছে, তা আমরা জানি এবং এসব করে তারা পার পাবেন না। মূলত পল-ব্রাউস হাসপাতালের মনোরোগ ও আসক্তি বিভাগের প্রধান অ্যামাইন বেনিয়ামিনার এবং স্নায়ু বিশেষজ্ঞ সার্ভেন মাউটনের নেতৃত্বে বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞরা বিষয়টি নিয়ে তিন মাস ধরে একটি গবেষণা করেন।

গবেষণাপত্রে বলা হয়, তিন বছরের কম বয়সী শিশুদের স্মার্টফোনে কোনো কিছু দেখানো উচিত নয়। টেলিভিশনের ক্ষেত্রেও একই বিষয় প্রযোজ্য। আর ১১ বছরের আগে কোনো শিশুরই নিজস্ব স্মার্টফোন থাকা উচিত নয়। যদি ১১ থেকে ১৩ বছর বয়সী শিশুদের হাতে স্মার্টফোন দিতেই হয়, তাহলে খেয়াল রাখতে হবে সে ফোনে যেন ইন্টারনেট ব্যবহার করা না যায়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ১৫ বছরের শিশুরা মাস্টডোনের মতো শুধু নৈতিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যবহার করতে পারে। ১৮ বছরের কম বয়সীরা যেন টিকটক, ইনস্টাগ্রাম ও স্ন্যাপচ্যাটের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ব্যবহার করতে না পারে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। একইসঙ্গে পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে কিশোর-কিশোরীদের জ্ঞান বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে।.

 

 


আরও সংবাদ

জরুরি হটলাইন