• বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ০৩:০৫ পূর্বাহ্ন

দুই হাজার কোটি টাকা পাচার উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী কারাগারে

নিজস্ব প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিনিধি / ৭৬
মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০২৪
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত।
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৯১১৬৫২৫৭০ (হোয়াটসঅ্যাপ)

রাত পোহালেই ফরিদপুর সদর উপজেলার নির্বাচন। অথচ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে করা মামলায় এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শামসুল আলম চৌধুরীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৭ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তিনি আনারস প্রতীকে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। একইদিন এ মামলায় ফরিদপুরের পৌর মেয়র অমিতাভ বোস ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম নাছিমের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল এ তথ্য জানিয়ে বলেন, এ মামলায় তিন আসামি আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক দুজনের জামিন মঞ্জুর এবং অন্যজনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে গত ২২ এপ্রিল ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে অধিকতর চার্জশিট আমলে গ্রহণ করেন আদালত। একইসঙ্গে পলাতক ৩৭ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৩০ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।

২০২০ সালের ২৬ জুন অবৈধ উপায়ে দুই হাজার কোটি টাকা আয় ও পাচারের অভিযোগে বরকত ও তার ভাই রুবেলকে প্রধান আসামি করে ঢাকার কাফরুল থানায় মামলাটি দায়ের করে সিআইডি। ২০১২ সালের অর্থপাচার প্রতিরোধ আইন সংশোধনী–২০১৫–এর ৪ (২) ধারায় এ মামলা করা হয়। ২০২১ সালের ৩ মার্চ বরকত ও রুবেলসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার উত্তম কুমার বিশ্বাস আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ওই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত এ অভিযোগপত্র আমলে গ্রহণ করেন।

 

২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর জজ মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ মামলাটির অভিযোগ গঠন শুনানি থেকে অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। গত ২২ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খান চার্জশিট জমা দেন।

 


আরও সংবাদ

জরুরি হটলাইন