• বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ১০:৫২ পূর্বাহ্ন

কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা জামাল হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি গ্রেপ্তার

মুহাম্মাদ শিমুল হুসাইন
মুহাম্মাদ শিমুল হুসাইন / ৬৭
সোমবার, ১৩ মে, ২০২৪
কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা জামাল হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি গ্রেপ্তার
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৯১১৬৫২৫৭০ (হোয়াটসঅ্যাপ)

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আলকরা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জামাল উদ্দিন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। আজ সোমবার ভোরে কুমিল্লা নগরের শাসনগাছা এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

বেলা ১১টায় র‍্যাবের শাকতলা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, মফিজুর রহমান ও রেজাউল করিম কুমিল্লা নগরের শাসনগাছা এলাকা দিয়ে আজ ভোরে পালিয়ে যেতে চাইছিলেন। তখন র‍্যাব সদস্যরা তাঁদের গ্রেপ্তার করেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন খন্দকার মফিজুর রহমান (৫২) ও রেজাউল করিম ওরফে বাবলু (৪২)। মফিজুরের গ্রামের বাড়ি চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শিলরী গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের প্রয়াত তাজুল ইসলামের ছেলে। রেজাউল আলকরা গ্রামের নজির আহম্মদের ছেলে।

জামাল উদ্দিনকে (৩৮) হত্যার দায়ে গতকাল রোববার ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন কুমিল্লার একটি আদালত। সেই সঙ্গে যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া আসামিদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। রায় ঘোষণার আগে গত ২৯ মার্চ ওই মামলার আসামি আলী হোসেনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। তাঁকেও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া অন্য আসামিরা হলেন ইসমাইল হোসেন ওরফে বাচ্চু, সালাউদ্দিন, আবদুর রহমান, জিয়াউদ্দিন শিমুল, জাহিদ বিন শুভ ও রিয়াজ উদ্দিন মিয়াজী।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম উপজেলার পদুয়া এলাকায় আলকরা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জামাল উদ্দিনকে কুপিয়ে, পায়ের রগ কেটে, গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহত জামালের বড় বোন জোহরা আক্তার বাদী হয়ে ২১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন। মামলায় আলকরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ইসমাইল হোসেন বাচ্চুকে ১ নম্বর আসামি করা হয়।

মামলায় আরও বলা হয়, ইসমাইল হোসেন ওরফে কালা বাচ্চুর চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মের প্রতিবাদ করায় যুবলীগ নেতা জামাল উদ্দিনের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয়। পরে জামাল উদ্দিনের ওপর হামলা করে আহত করেন। এ ঘটনায় জামাল উদ্দিন নিজে বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেন। মামলা করার পর চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে জামালকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। এরপর তাঁকে হত্যা করা হয়।


আরও সংবাদ

জরুরি হটলাইন