মারাগাথাম জানালেন, রাজীব গান্ধী ইন্দিরা গান্ধীর মূর্তিতে পুষ্পার্পণ করবেন। সেখানে বড় সমাবেশ হবে। এর আগে এই জায়গায় কখনো রাজনৈতিক সমাবেশ হয়নি। শেষ পর্যন্ত পুলিশের আপত্তি সত্ত্বেও সেখানে সমাবেশের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কংগ্রেস।
২১ মে ঘটনার দিন দুপুরে আমি ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে আমরা মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে স্থানটি ভালোভাবে পরীক্ষা করি। অনুষ্ঠানে কারা কী করবেন, তাদের তালিকা নিই। সেখানে কোকিলা নামের একজন কবিতা আবৃত্তি করবেন। সঙ্গে সেখানে থাকবেন তাঁর মামা লতা কান্নান। পরে তদন্তে এই দুজনও গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে হাজির হয়েছিলেন। তাঁদের সঙ্গে সন্দেহভাজন ধানু নামের সেই নারীকে দেখা গিয়েছিল।
ফিলিপ বলেন, ‘রাত ১০টার দিকে একটি অ্যাম্বাসেডর গাড়িতে করে রাজীব গান্ধী ঘটনাস্থলে আসেন। আমরা তাঁকে স্বাগত জানাই। তাঁর আসার পথ এবং সেই পথে রাখা ফুলের তোড়াসহ সবকিছু পরীক্ষা করা হয়েছে। নেমেই তিনি জনতার দিকে এগিয়ে যান। সেখানে তিনি নারীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। আমরা বলার পরও নারীরা ওই এলাকা ছাড়ছিল না।’
পুলিশ কর্মকর্তা ফিলিপ বলেন, ‘পরে রাজীব গান্ধী মঞ্চে ওঠেন। আমি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পাশে ছিলাম। পরে এসপির নির্দেশে আমি রাজীব গান্ধী থেকে কয়েক ফুট দূরত্বে সরে যাই। এরই মধ্যে কোকিলা আর তাঁর মাকে তাঁর কাছে যাওয়ার সুযোগ দিতে ইশারা দেন রাজীব গান্ধী। বাধ্য হয়ে তাঁদের দুজনসহ সেই সন্দেহভাজন খুনিকে যেতে দিতে বাধ্য হই আমরা। এরপরই সেই দুঃস্বপ্ন। রাত ১০টা ২০ মিনিটে সেকেন্ডের ব্যবধানে বিকট বিস্ফোরণ। আমি ছিটকে রাজীব গান্ধীর পায়ের কাছে গিয়ে পড়ি। আমার হাঁটু আর হাত থেকে রক্ত ঝরছিল। রাজীব গান্ধীর আশপাশে ৯ কর্মকর্তার নিথর দেহ। কোকিলা, তাঁর মা ও সেই ধানুর দেহও পড়ে আছে।’
ফিলিপ বলেন, ‘ঘটনস্থলে কোনো নিরাপত্তা কর্মকর্তা নেই। আমার চালক গাড়ি নিয়ে পালিয়েছেন। আমাকে ২৮ দিন হাসপাতালে কাটাতে হয়েছিল। আমার শরীরে ১০০ স্প্লিন্টার বিঁধে ছিল। এই আতঙ্ক আমাকে বহু বছর তাড়া করেছে।’