ইসলামের স্তম্ভ পাঁচটি। কালেমা, নামাজ, রোজা, হজ ও জাকাত। জিবরাইল (আ.) কর্তৃক রাসুল (সা.)-এর কাছে প্রশ্ন করা হয়, ‘ইসলাম কী?’ রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ইসলাম মানে এ কথার সাক্ষ্য দেওয়া যে আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো উপাস্য নেই, আর মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল, নামাজ কায়েম করা, জাকাত দেওয়া, রমজানের রোজা রাখা, সামর্থ্য থাকলে হজ করা। (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৬৯৫)
‘হজ’ কেবল সামর্থ্যবানদের ওপর ফরজ করা হয়েছে। হজ ফরজের পর আদায়ে দেরি করা ইসলামে নিন্দনীয় ও গুনাহের অন্তর্ভুক্ত।
এক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘বায়তুল্লাহর হজ করার জন্য যে ব্যক্তির পথসম্বল আছে এবং বাহন ইত্যাদির ব্যয় বহনের সামর্থ্য আছে অথচ সে হজ সম্পাদন করে না, সে ইহুদি কিংবা খ্রিস্টান হয়ে মৃত্যুবরণ করুক, তাতে কিছু যায়-আসে না।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৮১২; বায়হাকি, হাদিস : ৩৬৯২)
এ জন্য হজ ফরজ হওয়ার পর যত দ্রুত সম্ভব আদায় করে নেওয়া উচিত। দেরি করলে হজযাত্রীর অসুস্থতা, সম্পদ কমে যাওয়া বা এ জাতীয় কোনো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
হজ ফরজের পর কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে অন্যের মাধ্যমে বদলি হজ করানোর বিধান রয়েছে। তবে হজের সফরে গিয়ে কেউ কেউ ইন্তেকাল করেন।
এমন হজযাত্রীর হজের বিধান নিয়ে ইসলামি আইন ও ফেকাহ শাস্ত্রবিদরা বলেন, যদি হজ ফরজ হওয়ার পর সেই বছরেই হজ আদায় করতে গিয়ে ইন্তেকাল করেন হজযাত্রী তাহলে তার পক্ষ থেকে বদলি হজ আদায় করতে হবে না।
তবে যদি কারো ক্ষেত্রে এমন হয়ে থাকে যে, তার ওপর কয়েক বছর আগে হজ ফরজ হয়েছে, কিন্তু তিনি বিলম্বে হজ পালন করতে গেছেন। এবং সেই সফরে ইন্তেকাল করেছেন তাহলে তার পক্ষ থেকে বদলি হজ আদায় করাতে হবে। ফাতহুল কাদীর ২/৩২৭; আদ্দুররুল মুখতার ২/৬০৪