কক্সবাজারে উখিয়ার আশ্রয় শিবিরে ‘আধিপত্য বিস্তারকে’ কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত রোহিঙ্গা মো. শফিক (১৭) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
বুধবার (২২ মে) রাত সোয়া ১০ টার দিকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (এডিআইজি) মোহাম্মদ ইকবাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নিহত মো. শফিক উখিয়ার ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-১ ব্লকের মো. ছিদ্দিকের ছেলে।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশের (এডিআইজি) ইকবাল বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রোহিঙ্গাদের কয়েকটি সশস্ত্র দল সক্রিয় রয়েছে। বুধবার সকালে উখিয়ার ৪ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-ব্লক ও এফ-ব্লকে আরএসও এর কমান্ডার মো. হারুন ওরফে মুইচ্ছা হারুনের নেতৃত্বে ২৫ থেকে ৩০ সদস্য সশস্ত্র মহড়া দেয়। এতে ২০০ থেকে ৩০০ জন সাধারণ রোহিঙ্গা উত্তেজিত হয়ে একই ক্যাম্পের আরএসও নেতা মো. রফিকের বাড়িতে হামলা চালায়।’
এ সময় আরএসও সদস্যরা হামলাকারী সাধারণ রোহিঙ্গাদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে। এ ঘটনায় আহত হন ৫ জন। পরে আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী ৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জিকে হাসপাতালে ভর্তি করে।
এডিআইজি বলেন, ‘একই সময়ে উত্তেজিত রোহিঙ্গারা আরএসও সদস্য সন্দেহে ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ই-১ ব্লকের বাসিন্দা মো. ছিদ্দিকের ছেলে মো. শফিককে মারধর করে। এ সময় তাকে উদ্ধার করতে গেলে মা নুর বাহারের ওপর হামলা চালানো হয়।’
এডিআইজি আরও বলেন, ‘আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে কুতুপালংস্থ এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এ সময় শফিকের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসক কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।’
বুধবার রাত সোয়া ১০টায় কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে মর্গে রয়েছে।