ঢাকা নদী বন্দরের আওতাধীন মূল টার্মিনাল, লালকুঠিঘাট ও ওয়াইজঘাটের লেবার হ্যান্ডলিং ইজারা না দিতে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বরাবর লিখিত আবেদন করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল (যাপ) সংস্থা।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) যাবের প্রেসিডেন্ট মাহবুব উদ্দিন আহমদ বীর বিক্রম স্বাক্ষর করা আবেদনটি মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হয়।
এতে বলা হয়েছে, ঢাকা নদী বন্দর থেকে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২১ জেলার ৪১ নৌ পথে লাখ লাখ যাত্রী যাতায়াত করে। যার অধিকাংশই দরিদ্র ও হীন দরিদ্র। সাধারণ এই যাত্রীরা জীবিকা নির্বাহের জন্য অল্প খরচে প্রতিনিয়ত লঞ্চে যাতায়াত করে থাকেন। ঘাট ইজারা দেয়ার ফলে, ইজারাদারের লোকজন এ সকল যাত্রীদের থেকে অবাণিজ্যিক মালামাল পরিবহনে লেবার হ্যান্ডলিং চার্জ আদায় ও যাত্রীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে। যার ফলে লঞ্চের যাত্রী সংখ্যা অনাকাঙ্খিতভাবে হ্রাস পাচ্ছে বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাস টার্মিনাল , ট্রেন স্টেশন ও বিমান বন্দর সহ কোথাও প্রবেশ ফি আদায় করা হয় না এবং লেবার হ্যান্ডলিং ইজারা দেয়া হয় না একথা উল্লেখ করে আবেদনে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআইডব্লিউটিএ বিভিন্ন নদী বন্দরে যাত্রী প্রবেশে কোটি কোটি টাকা আদায় করছে। ঢাকা নদী বন্দর লেবার হ্যান্ডলিং ইজারা না দিলে তেমন কোন আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হবে না।
এই অবস্থায় যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের জন্য ঢাকা নদী বন্দরের আওতাধীন মূল টার্মিনাল, লালকুটিঘাট ও ওয়াইজ ঘাট এর লেবার হ্যান্ডলিং ইজারা না দেয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।