• মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন

৬০০ টাকা ফিতে রোগী দেখায় ভুয়া ডাঃকে অর্ধ লাখ টাকা জরিমানা

নিজস্ব প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিনিধি / ৭১
শনিবার, ২৫ মে, ২০২৪
নওগাঁ জেলা কারাগার
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৯১১৬৫২৫৭০ (হোয়াটসঅ্যাপ)

নওগাঁর পত্নীতলায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সোমাইয়া তাবাসসুম সাবা (২৪) নামের এক নারীকে তিন মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। সেইসঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দিবাগত রাতে উপজেলা সদরে অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার পপি খাতুন।

ডাক্তার না হয়েও চিকিৎসা দেওয়ার অপরাধে তাকে উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। পরে মোবাইল কোর্টের বিচারকের নির্দেশে সোমাইয়াকে নওগাঁ কারাগারে পাঠানো হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত সোমাইয়া তাবাসসুম সাবা পার্শ্ববর্তী মহাদেবপুর উপজেলার আতুরা গ্রামের আবু সাঈদ খানের মেয়ে।

এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার পপি খাতুন বলেন, ‘ডাক্তার পরিচয়ে এক নারী নজিপুর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে রোগী দেখতো এবং ব্যবস্থাপত্র প্রদান ও নিজেই বিভিন্ন টেস্ট করছিলেন।

মেয়েটি একটি কোর্স করে রোগী দেখত। এটা ঠিক না। আইন অনুযায়ী রোগী দেখতে পারেন না। ডাক্তারকে সহযোগিতা করতে পারবে। এছাড়া সে নির্দিষ্ট একটা আয়ুর্বেদিক কোম্পানিকে প্রমোট করতো। সেই মেডিসিন প্রমোট করতে গিয়ে রোগী দেখে, প্রেসক্রিপশন করে। শুধু তাই নয়, বলে দেয় এই মেডিসিন ৬-৭মাস খেতে হবে। যা একটা সাধারণ রোগীর জন্য ব্যয়বহুল। এ ছাড়া রোগীর কাছ থেকে ফি নেওয়া হয় ৬শত টাকা। আর মেয়েটি পড়াশোনা করছে সবেমাত্র ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষে। সে কীভাবে মানুষের শরীরের রোগ নির্ণয় করতে পারবে।

তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি, ডাক্তারি সনদপত্রের সঠিক প্রমাণাদি দেখাতে পারেনি। সেই কারণে তাকে ৩ মাসের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।


আরও সংবাদ

জরুরি হটলাইন