• মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন

ঘূর্ণিঝড় রিমাল পিরোজপুরে প্রস্তুত ৫৬১ আশ্রয়কেন্দ্র

নিজস্ব প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিনিধি / ৬৪
রবিবার, ২৬ মে, ২০২৪
পিরোজপুর জেলা প্রশাসনের সভা।
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৯১১৬৫২৫৭০ (হোয়াটসঅ্যাপ)

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলায় পিরোজপুরে প্রস্তুত করা হয়েছে ৫৬১টি আশ্রয়কেন্দ্র। যার মধ্যে ২৯৫টি সাইক্লোন শেল্টার এবং ২৬৬টি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ২ লাখ ৮০ হাজার ৫০০ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান।

জেলা প্রশাসক জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি কন্ট্রোলরুমসহ প্রতিটি উপজেলায় একটি টিম করা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে ৬৫টি মেডিকেল টিম। এ ছাড়া ২ লাখ ৬৩ হাজার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, প্রাথমিক পর্যায়ে ১৩ লাখ ৫০ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, ৬১১ টন চাল ও নগদ ছয় লাখ ১০ হাজার টাকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এ ছাড়াও দুর্যোগ পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর মেরামতের জন্য ৯৭ বান্ডিল টিন রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় রেড ক্রিসেন্টের ২৫০ স্বেচ্ছাসেবক ও সিপিপির ২ হাজার ৪২০ জন সদস্যও প্রস্তুত আছেন বলে জানান জেলা প্রশাসক।

 

এদিকে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার নদীগুলোতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে বেশি পানি দেখা গেছে এবং উপজেলার বিভিন্ন স্থানে হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার ভেতরে রয়েছে, মাঝেরচর, খেতাছিড়া, ভোলমারা, কচুবাড়িয়া।

এসব অঞ্চলের মানুষকে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

মঠবাড়ীয়া উপজেলার ঘূর্ণিঝড় বিষয়ক অফিসার ইনচার্জ আরাফাত উল ইসলাম জানান, ১২১টি ইউনিটে ২ হাজার ৪০ জন সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে।

মাঝেরচর ইউনিটের টিম লিডার আব্দুল হালিম কে জানান, আমাদের ইউনিটে ২০ জন স্বেচ্ছাসেবক হয়েছে। সতর্ক করার জন্য আমরা মাইকিং করে যাচ্ছি। এখানে ২০০ পরিবারে ১ হাজারের বেশি মানুষ রয়েছে। তাদের চর অঞ্চল থেকে উপকূলের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছি।

 

 


আরও সংবাদ

জরুরি হটলাইন