• রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৬:২৮ অপরাহ্ন

‘ছাত্রীদের ধর্ষণ’ পাল্টে কণ্ঠস্বর ‘অধ্যাপিকার’

নিজস্ব প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিনিধি / ৭১
রবিবার, ২৬ মে, ২০২৪
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৯১১৬৫২৫৭০ (হোয়াটসঅ্যাপ)

অ্যাপের মাধ্যমে নিজের কণ্ঠস্বর পাল্টে হয়েছেন অধ্যাপিকা। এরপর বৃত্তির প্রলোভন দেখিয়ে পরিত্যক্ত বাড়িতে ডেকে নিয়ে ছাত্রীদের করতেন ধর্ষণ। মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে প্রতারণার অভিযোগে এক দিনমজুর যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৫ মে) নিউজ১৮-এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতরণা করা ওই যুবকের নাম ব্রজেশ প্রজাপতি। তার বিরুদ্ধে অন্তত চারটি মামলা হয়েছে। আর ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের সিধি জেলায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রজেশ ভয়েস চেঞ্জিং অ্যাপের মাধ্যমে ছাত্রীদের ডেকে নিতেন তিনি। এরপর তাদের দেখানো হতো বৃত্তির প্রলোভন। এ জন্য বাছাই করা হতো দরিদ্র ও আদিবাসী পরিবারের সদস্যদের। ফোনে কথা বলে তাদের বৃত্তির জন্য ডেকে নেওয়া হতো নির্দিষ্টা জায়গায়। বলা হতো সেখানে অপেক্ষা করবেন অধ্যাপিকার ছেলে। তিনিই পৌঁছে দেবেন অধ্যাপিকার বাড়িতে। আর সেখানে বণ্টন করা হবে বৃত্তির টাকা।

ইউটিউব দেখে কণ্ঠস্বর পাল্টানোর এ প্রক্রিয়া শেখেন ব্রজেশ। এরপর ছাত্রীদের সামনে হাজির হতেন অধ্যাপিকার ছেলে হিসেবে। অতপর জঙ্গলে নির্জন বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করতেন তাদের। এমনকি বিষয়টি প্রকাশ করলে ভয়াবহ পরিণতিরও হুমকি দিতেন তিনি। এভাবে দিনে অন্তত ১০ থেকে ২০ জনকে ফোন দিতেন। এরপর বৃত্তি এবং নানা সরকারি প্রকল্পের কথা বলে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করতেন তিনি।

সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওই যুবকের নামে চারটি মামলা হয়েছে। এগুলোর প্রত্যেকটি ঘটনা ঘটেছে জানুয়ারি থেকে চলতি মাসের মধ্যে। এগুলো নিয়ে তদন্ত চলছে।

সিধির পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ব্রজেশ ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, ভয়েস চেঞ্জিং অ্যাপের মাধ্যমে ছাত্রীদের টার্গেট করতেন তিনি। নিগৃহীতরা সকলে আদিবাসী এবং আর্থিকভাবে অসচ্ছল।

পুলিশ জানিয়েছে. তার বিরুদ্ধে চারজন অভিযোগ করেছেন। এ ছাড়া জেরায় আরও তিনজনকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন ব্রজেশ।


আরও সংবাদ

জরুরি হটলাইন