বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে উপকূলীয় অঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বাদ যায়নি ফরিদপুরের সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলাও।
সোমবার (২৭ মে) শেষ রাত থেকে উপজেলা দুটিতে থেমে থেমে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ঝরছে, সঙ্গে বইছে দমকা ঝড়ো বাতাস।
এতে কয়েক দিনের অব্যাহত ভ্যাপসা গরম কমে কিছুটা শীতলতা অনুভূত হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দুই উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ঝড়ো বাতাস ও বৃষ্টির খবর পাওয়া যাচ্ছে।
তবে, বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। রিমালের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমাতে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, থেমে থেমে আসা দমকা বাতাসের সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের সমস্যা হচ্ছে। শ্রমিকদের দেখা গেছে বৃষ্টির মধ্যেও কাজের খোঁজে বেরিয়েছেন তারা। এ ছাড়া ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে চাকরিজীবীদের অফিসে যেতে দেখা গেছে।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল আহসান তালুকদার জানান, রিমালের প্রভাব শেষ না হওয়া পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিস, স্বাস্থ্য বিভাগ এবং সড়ক বিভাগকে সর্বাধিক সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সব নির্বাহী কর্মকর্তারা নিজ নিজ উপজেলার সব পর্যায়ে জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতে ও যেকোনো দুর্ঘটনায় দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ে নিরাপদ থাকতে কী করবেন?
১. বাড়ির কাছাকাছি থাকা মরা গাছের ডাল ছেঁটে ফেলুন। গাছের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। যাতে বাড়ির ওপর এসে না পড়ে।
২. টিনের পাতলা শিট, লোহার কৌটা যেখানে সেখানে পড়ে থাকলে এক জায়গায় জড়ো করুন। না হলে ঝড়ের সময় এর থেকে বিপদ হতে পারে।
৩. কাঠের তক্তা কাছে রাখুন যাতে কাচের জানালায় সাপোর্ট দেওয়া যায়।
৪. ফোন, ল্যাপটপ ও অন্যান্য জরুরি বৈদ্যুতিক যন্ত্র আগে থেকেই চার্জ দিয়ে রাখুন।
৫. হালকা শুকনো খাবার রাখুন বড়সড় বিপদের জন্য।
৬. পর্যাপ্ত পানি মজুত রাখুন।
৭. যে ঘরটি সবচেয়ে নিরাপদ সেখানে আশ্রয় নিন।
৮. বাড়ির পোষ্য ও গবাদি পশুদেরও নিরাপদ স্থানে এনে রাখুন।
৯. বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ঠিক থাকলে টিভি খবরে নজর রাখুন। না হলে রেডিও চালিয়ে রাখতে পারেন।
১০. ঝড় থামতেই বাইরে বের হবেন না। অপেক্ষা করুন কারণ ঘূর্ণিঝড় চক্রাকারে ঘোরে।