• রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৫:৩৩ পূর্বাহ্ন

‘ভুট্টা’র ডগা থেকে তৈরি ‘গোখাদ্য’

নিজস্ব প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিনিধি / ৬৬
মঙ্গলবার, ২৮ মে, ২০২৪
ভুট্টা গাছ থেকে গোখাদ্য প্রস্তুতের খণ্ডচিত্র। ছবি : প্রতিদিন খবর
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৯১১৬৫২৫৭০ (হোয়াটসঅ্যাপ)

গরু মোটাতাজাকরণে সবুজ ঘাস, খড়, ভূষিসহ বিভিন্ন পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো হয়। কিন্তু এবার দিনাজপুরের বীরগঞ্জে গরু মোটাতাজাকরণে অধিকাংশ খামারিদের মধ্যে এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ দেখা গেছে। তাদের পালিত গরুকে সবুজ ঘাস ও খড় খাওয়ানোর পাশাপাশি ভুট্টা গাছের ৪ থেকে ৫ ফিট উপরের অংশ কেটে খড় কাটা মেশিনে কুচি কুচি করে রোদে শুকিয়ে উচ্ছিষ্ট অংশ গরু ও মহিষকে খাওয়াচ্ছেন অধিকাংশ খামারিরা।

ফলে এই গরু ও মহিষগুলো ক্রমেই মোটাতাজা হচ্ছে। এতে করে খামারিদের গরু ও মহিষের খাদ্যের খরচ অনেকটাই কমে যাচ্ছে। ফলে কম খরচে অধিক লাভবান হচ্ছেন এই এলাকার খামারিরা।

এ ব্যাপারে উপজেলা মোহনপুর ইউনিয়নের খামারি রেজওয়ানুল ইসলাম (সবুজ) বলেন, আমার ৭টি গরু আছে। প্রতিদিন এই গরুগুলোকে সবুজ ঘাস ও ভূষিসহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী খাওয়াতে অনেক টাকা খরচ হয়। তাই গরুর খাদ্যের খরচ কমাতে ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করি, তা হচ্ছে ভুট্টা গাছের উপরের অংশ কেটে ছোট ছোট করে খাদ্য তৈরি করি। প্রথমে পরীক্ষামূলক অল্প করে কেটে গরু খাওয়ায়। এ সময় দেখি ভুট্টার কুড়া খুব খাচ্ছে। এরপর আমার লাগানো ২ বিঘা জমির ভুট্টা গাছের উপরের অংশ মেশিন দিয়ে কেটে সেগুলো রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করে রাখি এবং সময়মতো গরুকে খাওয়াই। এই খাদ্য অল্প দিনে খাওয়ার পর মোটা হচ্ছে, সেই সঙ্গে খরচ কমে যাচ্ছে।

অপর খামারি আশরাফুল ইসলাম গরু পালনের পাশাপাশি ৬টি মহিষ পালন করেছেন। সেই সঙ্গে এ বছর প্রায় ৩ বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছেন তিনি। মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে তিনি তার চাষকৃত ভুট্টা ঘরে তুলবেন। কিন্তু তার এলাকার অনেকেই ভুট্টা গাছের ডগা হতে গোখাদ্য তৈরি করছেন, এটা তার জানা ছিল না। স্বচক্ষে দেখার পর তিনি ভুট্টা গাছের ডগা হতে গরুর খাদ্য সামগ্রী তৈরি করছেন। এতে প্রতি বিঘায় ১২০০ টাকার মতো খরচ হয়। সেই সবুজ ঘাস ও অন্যান্য খাদ্য সামগ্রীর উপর চাপ কম হয়, এতে তিনি মহা খুশি।

এ ব্যাপারে বীরগঞ্জ উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ওসমান গনি বলেন, ভুট্টা গাছের উপরের অংশও পুষ্টিকর গোখাদ্য। ভুট্টা গাছের ফেলে দেওয়া উপরের অংশ খাদ্য হিসেবে গরু-মহিষকে খাওয়ালে খামারিদের খাদ্যের খরচও কমে যাবে। ফলে সবুজ ঘাস ও অন্যান্য খাদ্যের উপর চাপ কমবে। এতে খামারিরা লাভবান হবেন।


আরও সংবাদ

জরুরি হটলাইন