• সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ১০:৩২ অপরাহ্ন

দুদকের মামলা স্ত্রীসহ ট্রাফিক সার্জেন্টের বিরুদ্ধে

মুহাম্মাদ শিমুল হুসাইন
মুহাম্মাদ শিমুল হুসাইন / ৮০
বুধবার, ২৯ মে, ২০২৪
পুলিশ কর্মকর্তা জিয়াউল চৌধুরী।
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৯১১৬৫২৫৭০ (হোয়াটসঅ্যাপ)

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কুমিল্লায় পুলিশের এক পরিদর্শক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (২৮ মে) দুদকের কুমিল্লা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. ইমরান খান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

কুমিল্লা দুদক কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. ফজলুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আসামি জিয়াউল চৌধুরী কুমিল্লা জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত রয়েছেন। এর আগে তিনি হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন্ট ছিলেন। তার স্ত্রীর নাম ফারজানা হোসেন রিমা। জিয়াউল চৌধুরী ২০০৩ সালে সার্জেন্ট পদে যোগ দেন। অন্যদিকে তার স্ত্রী একজন গৃহিণী।

দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে জিয়াউল ও তার স্ত্রী ফারজানা ভুয়া ও জাল হলফনামা তৈরি করে মিথ্যা তথ্য দেন বলে জানান উপপরিচালক ফজলুল হক।

তিনি বলেন, তারা পরস্পর যোগসাজশে ২৩ লাখ ৯২ হাজার ৮৬৩ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও দখলে রেখে দণ্ডবিধি ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

মামলাতে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা তাদের সম্পদ বিবরণীতে মিথ্যা তথ্য ও জাল হলফনামা তৈরি করে ২৩ লাখ ৯২ হাজার টাকার সঞ্চয়পত্র উপহার হিসেবে দেখিয়ে বৈধ করার চেষ্টা করেছেন।

২০১৮ সালের ২৭ নভেম্বর জিয়াউল চৌধুরী ও তার স্ত্রী মোট সাত লাখ এক হাজার ৯০২ টাকার স্থাবর এবং ৪০ লাখ পাঁচ হাজার ৪২৬ টাকার অস্থাবরসহ মোট ৪৭ লাখ সাত হাজার ৩২৮ টাকার সম্পদ অর্জনের ঘোষণা দেন।

যার মধ্যে জিয়াউল চৌধুরী তার স্ত্রীর নামে কুমিল্লা প্রধান ডাকঘরের ২৪ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ক্রয় দেখিয়েছেন; যা তিনি মা ও শাশুড়ি কাছ থেকে পেয়েছেন। এ সঞ্চয়পত্র ক্রয়ের উৎস বৈধ করতে গিয়ে হলফনামায় ভুয়া দলিল ব্যবহার করেছেন; যা দুদকের অনুসন্ধানে জাল বলে প্রমাণিত হয়েছে।

দুদক কুমিল্লা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক ফজলুল হক বলেন, মামলার তদন্ত শেষে পরবর্তী সময়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও সংবাদ

জরুরি হটলাইন