আকৃতি ও বৈশিষ্ট্যের কারণে টিপু তার সখের ওই ষাঁড়ের নাম রেখেছেন ‘পালোয়ান’।
জানা যায়, খামারি আসাদুল ইসলামের স্বপ্ন উন্নত জাতের ষাঁড় ও গাভী পালন করে লাভবান হওয়া। তিনি দেশের বিভিন্ন খামারিদের সফলতার গল্প দেখে উৎসাহী হয়ে নিজেই আরম্ভ করেন ষাঁড় ও গাভীর খামার।
খামারে দিনে দিনে বেড়ে ওঠা ওই ষাঁড়টির নাম রাখা হয়েছে পালোয়ান। বাড়ির ভেতরে বিশাল আকৃতির ষাঁড় রয়েছে এ খবর তার প্রতিবেশীরাই জানত না। দীর্ঘ এক বছর পর ওই ষাঁড়টিকে বাড়ির বাইরে বের করে আনলে উৎসুক প্রতিবেশীদের নজরে আসে। ষাঁড়টিকে এক নজর দেখার জন্য স্থানীয় নারী-পুরুষ ভিড় জমাচ্ছে।
হায়াতপুর গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম জানান, সন্তানকে যেভাবে মানুষ আদর-যত্ন করে লালন-পালন করে ঠিক সেভাবেই প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে টিপু তার পালোয়ানের দেখাশোনা করে। এখানকার অনেকেই জানে না তার বাড়ির ভেতর এত বড় গরু রয়েছে। সম্প্রতি বাড়ির বাইরে বের করার কারণে অনেকেই তা দেখার জন্য ছুটে আসেন।
খামারি আসাদুল ইসলাম টিপু জানান, তার ওই শখের পালোয়ানের পেছনে প্রতি মাসে পনেরো থেকে ষোলো হাজার টাকার খাবারসহ অন্যান্য খরচ করতে হয়। এ ছাড়াও খাবারের পাশাপাশি দিনে দশ থেকে বারোবার গোসল করাতে হয়। বিদ্যুৎ চলে গেলে হাতপাখা দিয়ে বাতাস করতে হয় তাকে। ষাঁড়টি তিনি চৌদ্দ লাখ টাকায় বিক্রি করতে চান।