মোঃ আক্কাস আলী-বেনাপোল প্রতিনিধি

বেনাপোল পোর্ট থানাধীন সীমান্তবর্তী গ্রাম পুটখালী হতে ৭৫০ বোতল ফেন্সিডিল সহ শহীদ আলী(৩৫) নামের এক মাদক বিক্রয়কারীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব -৬ যশোর। এ সময় বিপুল হোসেন(৩০) ও রাজু আহম্মেদ(২৬) নামের তার দুই সহযোগী র‍্যাব এর অবস্থান টের পেয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৬ সিপিসি-৩, বকচর, যশোর কোম্পানী কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন এক "প্রেস রিলিজ" এ জানিয়েছেন- " র‌্যাব ফোর্সেস আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে তরান্বিত করতে এবং সম্মানিত নাগরিকদের জন্য টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের আলোকে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, মাদক কারবারি ও বিবিধ প্রতারক চক্র গ্রেফতারসহ চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র‌্যাব জনগনের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে"।

"ঘটনার বিবরণঃ নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে র‌্যাব-৬, সিপিসি- ৩, যশোর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল ০৩ জুন সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে গোপন সংবাদের মাধ্যমে তথ্য প্রাপ্ত হয় যে, যশোর জেলার বেনাপোল পোর্ট থানাধীন পুটখালী ইউনিয়ন এর ২নং ওয়ার্ডের জনৈক শহীদ আলীর বাড়িতে মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল বিক্রয়ের নিমিত্তে মজুদ করেছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে উক্ত আভিযানিক দলটি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঘটনা স্থলে অভিযান পরিচালনা করে"।

"উক্ত অভিযানে মাদক বিক্রয়কারী শহীদ আলী(৩৫) কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ সময় উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত আসামীর স্বীকারোক্তি মতে, তার বাড়ির শয়নকক্ষের ট্যাংকের নিচে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ৩৫০ (তিনশত পঁঞ্চাশ বোতল ফেন্সিডিল) তার নিজ হাতে বাহির করে দেওয়া মতে উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়। অভিযানে তার দুই সহযোগী বিপুল হোসেন(৩০) এবং রাজু আহম্মেদ(২৬) পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়"।

"আসামী শহীদ আলীর বাড়ী পুটখালী গ্রামে,তার পিতার নাম-মোঃ হযরত আলী"।

"পরবর্তীতে আভিযানিক দলটি ধৃত আসামীকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে, গ্রেফতারকৃত আসামীর চাচাতো ভাই বিপুল হোসেন (৩০) এর বাড়িতে আরো ৪০০ বোতল ফেন্সিডিল সংরক্ষণ করা আছে। তার দেওয়া তথ্য মতে, আভিযানিক দলটি বিপুল হোসেন এর বসত বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় বিপুল হোসেন এর বাড়ির রান্নাঘরের ভেতরে রাখা পাটকাঠির স্তুপের নিচে বিশেষভাবে রক্ষিত অবস্থায় ৪০০ বোতল ফেন্সিডিল উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়। সর্বমোট ফেন্সিডিল উদ্ধার (৩৫০+৪০০)= ৭৫০ বোতল"।

"আসামী শহীদ আলীকে আরও জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাস হওয়ার সুযোগে পলাতক আসামীদের পরষ্পর সহযোগীতায় বিভিন্ন অবৈধ পন্থায় সল্প মূল্যে মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল ক্রয় করে যশোর সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় অধিক দামে সরবরাহ/বিক্রয় করে থাকে"।

জব্দকৃত আলামত ও গ্রেফতারকৃত আসামীকে যশোর জেলার বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করতঃ আসামী শহীদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে বলে "প্রেস রিলিজ" এ জানানো হয়েছে।