• শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৭:০৫ অপরাহ্ন

আওয়ামী লীগ কখনো গণতন্ত্র চায়নি: মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিনিধি / ৭৩
বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪
চট্টগ্রামে জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে বক্তব্য রাখেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি : প্রতিদিন খবর।
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৯১১৬৫২৫৭০ (হোয়াটসঅ্যাপ)

আওয়ামী লীগ কখনো গণতন্ত্র চায়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার (৪ জুন) চট্টগ্রাম নগরের ইঞ্জিনিয়ার থিয়েটার ইনস্টিটিউটে জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘জাতিসত্তার রূপকার: রাষ্ট্রনায়ক জিয়াউর রহমান’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ ’৭২ সালে দেশের দায়িত্ব নেয়। কি ছিল সেই শাসন? সেটা ছিল দুর্নীতি, দুঃশাসন এবং দুর্ভিক্ষ। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরপরই তাদের অবিসংবাদিত নেতার জয়গান গেয়েছিল এবং বলা হচ্ছিল তার নেতৃত্বে দেশের পরিবর্তন হবে। শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। তখন দেখা গেল তার উল্টোটা হচ্ছে। তারা গণতন্ত্রকে নির্বাসিত করেছে। তখন বিরোধী দল বলতে কিছুই ছিল না। গণতন্ত্র তারা কখনো চায়নি। তারা সবসময় চেয়েছিল নিজেরাই একমাত্র তারা শাসন করবে। তারা সব নিয়ে নেবে, করেছেও তাই। ওই পাঁচ বছরই ছিল আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের বিষয়।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ সারাক্ষণ জিয়াউর রহমানকে অস্বীকার করেন, তার অবদান বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখান। তারাও কিন্তু পাসপোর্টে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ বলতে বাধ্য হয়েছে। আর একটি কথা তারা প্রায় ভুলে যায় তাদের কিন্তু অস্তিত্ব ছিল না। তাদের অগ্রজেরা যখন বাকশাল সৃষ্টি করেছিল শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সেই সরকার। সেটাই কিন্তু আওয়ামী লীগকে বিলুপ্ত করে দেওয়া হয়েছিল। তাদের দল ছিল না। দ্বিতীয়বার আ.লীগের জন্ম হয়েছিল জিয়াউর রহমান যখন এক দল থেকে বহুদলের প্রবর্তন করলেন তখন। তখনই দরখাস্ত করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিবন্ধিত হয়েছিল।

চট্টগ্রাম নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে এবং ড্যাবের কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক ডা. এস এম সারোয়ার আলমের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকার, এস এম ফজলুল হক, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ।

ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম ফোরামের আহ্বায়ক একরামুল করিম এবং ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী।

আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রমবিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দীন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী প্রমুখ।


আরও সংবাদ

জরুরি হটলাইন