• শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৭:০৭ অপরাহ্ন

ওষুধের দাম বৃদ্ধি নিয়ে বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম

নিজস্ব প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিনিধি / ৬৫
বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪
বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম। ছবি : সংগৃহীত
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৯১১৬৫২৫৭০ (হোয়াটসঅ্যাপ)

গভীর উদ্বেগের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে যখন দিশেহারা দেশের জনগণ তখন ওষুধের দাম বৃদ্ধি করে দেশের জনগণকে এক নির্মম পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে এই সরকার বলে এক বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম। ন্যাশনাল হেলথ অ্যাকাউন্টের তথ্যমতে, চিকিৎসা ব্যয়ের ৭০ শতাংশ ব্যক্তির পকেট থেকে খরচ হয়, সেই ওষুধের দাম বৃদ্ধি করে যেন নির্মম এক প্রহসনের আয়োজন করল জনবিচ্ছিন্ন এই সরকার।

২০২২ সালে কোনো ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়া শুধু ওষুধ কোম্পানিগুলোর সুপারিশে ২০টি জেনেরিকের ৫৩টি ওষুধের দাম বৃদ্ধি করে ওষুধ প্রশাসন, যা ছিল নজিরবিহীন। সে সময় প্যারাসিটামল, হৃদরোগ, ব্যথানাশক ও গ্যাস্ট্রিকের ওষুধের দাম ৫০-১৩৪ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। এরপর ২০২৩ সালে আরেক দফায় ২৩৪টি জীবন রক্ষাকারী ওষুধের দাম ১০ থেকে ৫০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল।

ওষুধের দাম বৃদ্ধির এই রেশ কাটতে না কাটতেই দৈনিক একটি পত্রিকা সূত্রে জানা যায়, অতি সম্প্রতি পুনরায় কয়েক মাসের ব্যবধানে দু’শতাধিক ওষুধের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে কমপক্ষে ২০ শতাংশ

ডলারের মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে এই দাম বাড়িয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দাবি। ভঙ্গুর অর্থনীতি ও লুটপাটের রাজনীতির বলি হচ্ছে সাধারণ জনগণ। ওষুধ প্রশাসন এসব ক্ষেত্রে নীরব।

এভাবে হুট করে দামবৃদ্ধির কারণে অনেকেই মাঝপথে ওষুধ সেবন বন্ধ করে দিচ্ছে, ফলে নানা রকম স্বাস্থ্যঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডায়াবেটিস কিংবা উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের দাম বাড়ার কারণে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো এইসব ওষুধ বন্ধ করে দেওয়ার উপক্রম হয়েছে। ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগসহ নানা অসংক্রামক রোগের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে।

দাম বৃদ্ধি পেয়েছে জীবন রক্ষাকারী এন্টিবায়োটিকেরও। কোর্স সম্পন্ন না করে এন্টিবায়োটিক বন্ধ করলে এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স তৈরি হচ্ছে যা শীর্ষ ১০টি জনস্বাস্থ্য হুমকির একটি। একই সঙ্গে ডায়াবেটিস কিংবা হৃদরোগের ওষুধের দাম বৃদ্ধিতে মারাত্মক ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। যারা দীর্ঘ মেয়াদি রোগে ভুগছেন নিয়মিত ওষুধ খাওয়ার জন্য তাদের মাসিক খরচ ২-৪ হাজার টাকা বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিত্যনৈমিত্তিক পণ্য কেনা নিয়ে যখন নাভিশ্বাস তখন জীবন রক্ষাকারী ওষুধ কেনাটা সাধারণ মানুষের জন্য বিলাসিতায় পরিণত হয়েছে।

১৯৮২ সালের ওষুধ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১১ (১) ধারা অনুযায়ী স্পষ্ট বলা আছে “সরকার অফিসিয়াল গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে ওষুধের দাম নির্ধারণ করতে পারবে।” অথচ এই নিয়মের তোয়াক্কা না করে ২০২২ সালেই ওষুধ প্রশাসন দাম বাড়িয়েছে ২ বার। এরপর ২০২৩ ও ২০২৪ সালে আরও ২বার।

এভাবে দেশের প্রতিটি খাত ধ্বংসের সম্মুখীন। চিকিৎসা মৌলিক অধিকার তাও আজ ক্ষুণ্ন হচ্ছে। নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত এই সরকার কোনোভাবেই দেশের সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা না করে এক চরম দুর্যোগের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

এভাবে চলতে পারে না। অবিলম্বে স্বাস্থ্য খাতে এই বেহাল দশার সঙ্গে জড়িত অবৈধ সরকারের কুশীলবদের জবাবদিহিতার মুখোমুখি করতে হবে।


আরও সংবাদ

জরুরি হটলাইন