টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ। শুরুটাও ছিল দুর্দান্ত। ভাগ্যে জয়ী বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
বোলাররা নিজের সামর্থ্যের শেষ বিন্দু দিয়ে আটকে রাখে মাত্র ১২৪ রানে। তবে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ম্লান হতে বসেছিল বোলারদের বীরত্ব। তবে তাওহীদ হৃদয় প্রতিরোধ আর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের দারুণ ফিনিশিংয়ে ২ উইকেটে লঙ্কানদের হারিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু বাংলাদেশের।
ম্যাচটি সহজ জয়ের মঞ্চ আগেই তৈরি করে দিয়েছিলেন তিন বোলার মোস্তাফিজুর রহমান রিশাদ হোসেন ও তাসকিন আহমেদ। তবে কঠিন করে তোলেন টপ অর্ডারের ব্যাটাররা।
২৪ বলে প্রয়োজন ১৭ রান হাতে ৫ উইকেট। ফ্রিজে অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসান ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। এই ম্যাচে কোনো ভাবেই হারার পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার কথা নয়।
সাকিবের দেখাদেখি তাসকিন আহমেদ ও রিশাদ হোসেন দ্রুত আউট হলে স্নায়ু চাপে পড়ে বাংলাদেশ দল। সেই চাপ সামলে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান মাহমুদুল্লাহ। অভিজ্ঞ এই ব্যাটারের ১৩ বলে ১৬ রানের অপরাজিত ইনিংসটি গুরুত্ব অপরিসীম।
বাংলাদেশের ইনিংসে শেশগ দিকের নায়ক যদি হন মাহমুদুল্লাহ। তাহলে ইনিংসের শুরুর দিকের তাওহীদ হৃদয় হচ্ছেন মহানায়ক। এ ম্যাচও ব্যর্থ বাংলাদেশের টপ অর্ডার।
লক্ষ্যমাত্র ১২৫ কিন্তু শুরুটা নড়বড়ে। ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচের পর লঙ্কান বিপক্ষে বিশ্বকাপের মূল পর্বে গোল্ডেন ডাক মারলেন সৌম্য সরকার।
ব্যাটাতে দারুণ ফর্মে ছিলেন তানজিদ হাসান তামিম। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অভিষেক ম্যাচটা রাঙাতে পারলেন না তিনি মাত্র তিন রান করে। ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট এই ম্যাচে এসেছে তার ব্যাট থেকে মাত্র সাত রান।
এরপর ওপেনার লিটন দাসকে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা হৃদয়ের। ফর্মে থাকার পরও একাদশে সুযোগ পাওয়া লিটন, এই ম্যাচে কিছুটা মেলে ধরার চেষ্টা করে নিজেকে। তবে ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্যক্তিগত ৩৬ রানে আউট হয়ে যান তিনি।
হাসারাঙ্গাকে এক ওভারে পরপর তিন ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচের গতিপথ নিজেদের অনুকূলে নিয়ে আসেন হৃদয়। ৪০ রানে তিনি আউট হলে আবারও ধস নামে বাংলাদেশের ইনিংসে।
শেষ পর্যন্ত অভিজ্ঞ মাহমুদুল্লাহর ব্যাটে জয় নিশ্চিত হয় টাইগারদের। দক্ষিণ আফ্রিকার পর টানা বাংলাদেশের কাছে এই হারে সুপার এইটে উঠার দূর থেকে অনেকটা ছিটকে গেল লংকানরা।
এর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৯ উইকেটে মাত্র ১২৪ রানে রুখে দেয় বাংলাদেশের বোলাররা। এতে বড় অবদান মোস্তাফিজুর রহমান রিশাদ হোসেন ও তাসকিন আহমেদের। আইপিএলের ফর্ম বিশ্বকাপেও ধরে রেখেছেন মোস্তাফিজ। তার শিকার লঙ্কান ৩ ব্যাটার।
লঙ্কানদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৭ রান আসে ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কার ব্যাট থেকে। ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা করেন ২১ রান।