টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে মাত্র ১২৪ রানে রুখে দেয় বাংলাদেশের বোলাররা। এতে বড় অবদান ছিলো দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমানের। ইনজুরি থেকে ফিরে তাসকিন ছিলেন দুরন্ত। শিকার করেন ২ উইকেট।
আইপিএলে ফর্ম বিশ্বকাপেও ধরে রেখেছেন মোস্তাফিজ। তার লঙ্কান ৩ ব্যাটার। তবে এ দিন সব আলো নিজের দিকে কেড়ে নিয়েছেন রিশাদ হোসেন।
প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলতে নেমে দুর্দান্ত বোলিংংয়ে জয় করেছেন ভক্তদের। তার লেগ স্পিনার জাদুতে দিশেহারা ছিলো লঙ্কান ব্যাটাররা। করেছেন ক্যারিয়ার সেরা বোলিং।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আগে তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ছিলো ২১ রানে ২ উইকেট। তবে এ ম্যাচে তা ছাড়িয়ে যান ডানহাতি এই লেগ স্পিনার।
চারিথ আসালঙ্কা দিয়ে তার উইকেট শিকার শুরু। তার লেগ স্পিনে পুল শট খেলতে গিয়ে মিড উইকেটে সাকিব আল হাসানের হাতে ধরা পড়েন ক্রমশ ভয়ংকর হতে থাকা বাঁহাতি এ ব্যাটার।
পরের বলেই লঙ্কান অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার উইকেট। স্লিপে সৌম্য সরকারের হাতে ধরা পড়ে গোল্ডেন ডাকে সাজঘরে ফেরেন আইসিসির অলরাউন্ডাদের র্যাঙ্কিংয়ের দুই নম্বরে থাকা এই ব্যাটার।
পরের ওভারে আবার আঘাত হানেন রিশাদ। এবার তার উইকেটে অবদান লিটন কুমার দাসে। সাদিকা সামারাবিক্রমার পরিবর্তে একাদশে সুযোগ পাওয়া ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে স্ট্যাম্প করেন লিটন। নির্ধারিত ৪ ওভারে ২২ রানে ৩ উইকেট শিকার করে রিশাদ। যা তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং।