বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বলেছেন, যারা প্রকৃতার্থে ধর্ম বিশ্বাসী, তারা মানবধর্ম বিশ্বাস করে।
তিনি বলেন, ধর্মকে যখন গোষ্ঠীর স্বার্থে, ব্যক্তি বা রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হয় তখন ধর্মের নামে এক ধরনের উগ্রতা, ধর্মান্ধতা এবং মৌলবাদীতার সৃষ্টি হয়। ধর্মকে অপব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে মানুষের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়ে দিতে দেখেছি। তবে প্রকৃত ধর্ম মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করে না।
শনিবার (৮ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবে হিযবুত তওহীদ আয়োজিত ‘ধর্মীয় উগ্রবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রানা দাশগুপ্ত আরও বলেন, ধর্মে ধর্মে কোন বিদ্বেষ নেই, দ্বন্দ্ব নেই। এখন ধর্মের মধ্যে কাল্পনিক দ্বন্দ্ব তৈরি করে একে অন্যের সম্পত্তি গ্রাস করে ফেলা হচ্ছে। বাংলাদেশের এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে সব ধর্মপ্রাণ মানুষ চলুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই। ধর্মের বিভ্রান্তিকর ব্যাখ্যায় আমরা ক্রমাগত অমানুষে পরিণত হচ্ছি।
আলোচনা সভায় হিযবুত তওহীদের চেয়ারম্যান এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিমের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. শাজাহান মাহমুদ, বাংলাদেশ পূজা উদপাযন পরিষদের সভাপতি শ্রী বাসুদেব ধর, ড. চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি বিভাগের অধ্যাপক জিনোবধি ভিক্ষু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, ঢাবি অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার, উইলিয়াম প্রলয় সমদ্দার বাপ্পি, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, সঞ্চালনায় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্রীমতি পদ্মাবতী দেবী, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিন্দ্র কুমার নাথ, হিযবুত তওহীদের তথ্য সম্পাদক এস এম সামসুল হুদা, হেযবুত তওহীদের ঢাকা বিভাগের সভাপতি ড. মাহবুব আলম মাহফুজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নারীবিষয়ক সম্পাদক ও দৈনিক দেশেরপত্রের সম্পাদক রুফায়দাহ পন্নী অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
সভাপতির বক্তব্যে হিযবুত তওহীদের চেয়ারম্যান হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম বলেন, হিযবুত তওহীদ চেষ্টা করে যাচ্ছে প্রতিটি ধর্মের অনুসারীদের চিরন্তন ন্যায় ও সত্যের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ করতে, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ, ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত করতে।
সারাদিনের সর্বশেষ খবর পেতে লেগে থাকুন প্রতিদিন খবরে