• বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ০৩:১০ পূর্বাহ্ন

দ্রুত মোটাতাজা করতে গরুকে খাওয়ানো হচ্ছে ভয়ংকর ডেক্সামেথাসন

মুহাম্মাদ শিমুল হুসাইন
মুহাম্মাদ শিমুল হুসাইন / ৯৪
রবিবার, ৯ জুন, ২০২৪
পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে চাঁদপুর মতলব উত্তর উপজেলার ব্যবসায়ীরা গরুকে নিষিদ্ধ ভারতীয় ওষুধ ডেক্সামেথাসন খাওয়াচ্ছেন
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৯১১৬৫২৫৭০ (হোয়াটসঅ্যাপ)

পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে চাঁদপুর মতলব উত্তর উপজেলার ব্যবসায়ীরা গরুকে নিষিদ্ধ ভারতীয় ওষুধ ডেক্সামেথাসন খাওয়াচ্ছেন। এ ওষুধের মাত্রাতিরিক্ত প্রয়োগের ফলে গরু দ্রুত মোটাতাজা হয়।

চিকিৎসকরা বলছেন, এসব গরুর মাংস মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক গরু ব্যবসায়ী জানান, পবিত্র ঈদুল ফিতরের পরপরই তারা বেছে বেছে দুর্বল গরু কেনেন। কিছুদিন লালনপালন করার পর গরুকে নিষিদ্ধ ভারতীয় ডেক্সামেথাসন বড়ি খাওয়ানো হয়। এতে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই গরু মোটাতাজা হয়। ফলে ঈদুল আজহায় হাটে ভালো দাম পাওয়া যায়।

নয়ন মিয়া নামে একজন বলেন, এ ব্যবসায় দেড় থেকে দুই মাস পরিশ্রম করলে বেশ ভালো টাকা রোজগার করা যায়। আর আমি কয়েক বছর হলো এভাবে গরু মোটাতাজা করে বিক্রি করি। কেউ তো কোনোদিন বলেনি, এটা খারাপ বিষয়।

এ ব্যাপারে পল্লী পশু চিকিৎসকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় জানা যায়, বলবর্ধক নিষিদ্ধ বড়ি খাওয়ানোর ফলে পশুর যকৃৎ ও কিডনিতে পানি জমে। ওই পানি শরীর থেকে বের হতে না পেরে মাংসে সঞ্চারিত হয়। ফলে গরু ফুলে যায়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কয়েকজন চিকিৎসকরা বলেন, মোটাতাজা ওষুধ গরুকে অতিরিক্ত খাওয়ালে যেমন ক্ষতিকর, তেমনি এসব গরুর মাংসও মানুষের জন্য ক্ষতিকর।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শ্যামল চঁন্দ দাস বলেন, ডেক্সামেথাসন জাতীয় ওষুধ গরুকে বেশি মাত্রায় খাওয়ালে অনেক খারাপ প্রভাব পড়ে। এ ওষুধ খাওয়ানো ঠিক নয়। এ বিষয় খামারিসহ সাধারণ মানুষকে আমরা সচেতনতামূলক তথ্য প্রচার করে থাকি।

মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. হাসিবুল ইসলাম জানান, স্টেরয়েড গ্রুপের এসব ওষুধ সেবনের কারণে দ্রুত মোটাতাজা হলেও গরু রোগাক্রান্ত ও নিস্তেজ হয়ে পড়ে এবং গরুর কিডনি, যকৃৎ, ফুসফুস, কলিজা ও মাংস নষ্ট হয়ে যায়। এসব ষাড়ের মাংস মানুষের জন্যও নিরাপদ নয়। এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।


আরও সংবাদ

জরুরি হটলাইন