জম্মু জোনের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল অব পুলিশ আনন্দ জৈন বন্দুকযুদ্ধ নিয়ে একটি বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন। ডোডায় ঘটে যাওয়া ঘটনার বিষয়ে তিনি বলেন, সন্ত্রাসীরা গভীর রাতে ছত্তরগালা এলাকায় একটি সেনা ঘাঁটিতে পুলিশ ও রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের একটি যৌথ দলের ওপর গুলি চালায়। তিনি বলেন, পার্বত্য এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী এবং সন্ত্রাসীদের মধ্যে তখন গোলাগুলি শুরু হয়।
এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, গত সন্ধ্যায় কাঠুয়ায় হামলার ঘটনায় দুই বিচ্ছিন্নতাবাদী জড়িত ছিল এবং তাদের মধ্যে একজন নিহত হয়েছেন। কাঠুয়ার হীরানগর এলাকায় দ্বিতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীর সন্ধানে নিরাপত্তা বাহিনী এখন ড্রোন ব্যবহার করছে।
বিচ্ছিন্নতাবাদীরা গ্রামবাসীদের বেশ কয়েকটি বাড়ি থেকে পানি চেয়েছিল। তখন গ্রামবাসীদের সন্দেহ হলে কিছু গ্রামবাসী সতর্ক হয় তখন তারা গুলি চালায় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
তিনি আরো বলেছেন, ‘অনেক লোক আহত হয়েছে এবং তিনজন মারা গেছে বলে গুজব ছড়িয়েছে। তবে শুধু একজন বেসামরিক ব্যক্তি আহত হয়েছে, এর বাইরে জিম্মি হওয়া এবং মৃত্যুর বিষয়ে সব তথ্য গুজব।’ তবে গোলাগুলির সময় নিহত হন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) সদস্য।
এডিজিপি জৈন কাঠুয়া হামলাকে একটি নতুন অনুপ্রবেশ বলে অভিহিত করেছেন।
জম্মুতে এই দুটি সন্ত্রাসী ঘটনার মাত্র দুই দিন আগেই তীর্থযাত্রীদের বহনকারী একটি বাস রিয়াসিতে হামলার শিকার হয়েছিল। শিব খোরি গুহা মন্দিরে যাওয়ার পথে রিয়াসিতে একটি বাসে হামলা চালায় বিচ্ছিন্নবাদীরা।
বাসের চালক যাত্রীদের নামাতে না দিলে সন্ত্রাসীরা গুলি চালায়, তখন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে পড়ে যায় বলে বাস কম্পানির ম্যানেজার জানিয়েছেন। এ ঘটনায় ৯ জন নিহত ও ৩৩ জন আহত হয়েছেন। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, লস্কর-ই-তৈয়বার কমান্ডার আবু হামজার নির্দেশে এই হামলা চালানো হয়েছে।