মাহমুদুন্নবী, পত্নীতলা ( নওগাঁ ) প্রতিনিধি
আত্রাই নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের তথ্য পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে দেওয়ায় বালু ব্যবসায়ী জামান মোল্লা’র দ্বারাই মারধরের স্বিকার হয়েছেন জিল্লুর রহমান নামের এক যুবক।
আত্রাই নদী’র পত্নীতলা উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া বাধ থেকে রাতের আধারে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন এবং গ্রামের ভিতরের রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত বালুবাহি গাড়ি চলাচলে করছে মর্মে স্থানীয়রা বালু উত্তোলনে বাধা প্রদান করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে খবর দিলে বন্ধ হয়ে যায় বালু উত্তোলন। এই জের ধরে পরেরদিন দুপুর ১২ টায় নজিপুর বাসস্ট্রেন্ড এলাকায় জিল্লুর রহমান নামের যুবক আসলে বালু ব্যবসায়ী জামান মোল্লা তার দলবল নিয়ে হামলা করে।
জেলা প্রশাসক অফিস এবং স্থায়ীয় বালু ব্যবসায়ী সূত্রে জানা যায়, আত্রাই নদীর পত্নীতলা শাখার টেন্ডার পায় মো: মফিজ উদ্দিন। কিন্তু তিনি জেলা প্রশাসকের দেওয়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পুরো টাকা পরিষদ না করে বকেয়া রাখেন ১ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা। একাধিক বার ইজারাদার মো: মফিজ উদ্দিন কে নোটিশ করা হলেও বকেয়া টাকা পরিষদ করেন নি। যার ফলে পরবর্তী ইজারা না দেওয়া পর্যন্ত আত্রাই নদী পত্নীতলা শাখার সকল প্রকার বালু উত্তোলন বন্ধ থাকবে বলেও ঘোষণা দেন নওগাঁ জেলা প্রশাসক।
এবিষয়ে স্থানীয় যুবক মো: জিল্লুর রহমান বলেন, হঠাৎ কয়েকদিন থেকে দেখছি আমাদের গ্রামের রাস্তা দিয়ে বালুবাহি গাড়ি যাতায়াত করছে। গভীর রাতে গাড়ির শব্দের কারণে আমরা আমাদের পরিবার নিয়ে শান্তিতে ঘুমাতে পাচ্ছিনা। পরবর্তী তে খোঁজ খবর নিয়ে দেখি তারা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে আমাদের ডাঙ্গাপাড়া বাধ থেকে। বাধ্য হয়ে আমরা গ্রামবাসী গাড়ি আটক করে ববিুএনও কে ফোন করি। কিন্তু ইউএনও গাড়িগুরো জব্দ না করে চেয়ারম্যানের মাধ্যমে গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে শুধু বালু উত্তোলন বন্ধ করেন। আজ সকালে আমি নজিপুর বাসস্ট্রেন্ডে আসলে জামান মোল্লা তার ছেলে পেলে নিয়ে আমার উপর হামলা করে। এবিষয়ে আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
অভিযুক্ত জামান মোল্লার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
এবিষয়ে পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা: পপি খাতুন বলেন, বিষয়টি আমি জানতে পাবার সাথে সাথেই স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বালু উত্তোলন বন্ধ করা হয়। পরবর্তী কে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।