প্রতারণার মাধ্যমে সাড়ে ২৩ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় আসামি মো. জিল্লুর রহমান রাজুর জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার (১২ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসানের আদালত এ আদেশ দেন। আদালতের পল্টন মডেল থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা উপপরিদর্শক আলমগীর হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিন রাজুর আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেন। এর আগে গত ১ জুন পল্টন মডেল থানার মামলায় তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল উল্লাহ। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ৪ মে মো. মোশারফ হোসেন রায়হান বাদী হয়ে রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি জিল্লুর রহমান রাজু মামলার বাদী মোশারফ হোসেনের সঙ্গে প্রায়ই বিভিন্ন ব্যবসায়িক বিষয়ে আলোচনা এবং মাঝে মাঝে টাকা লেনদেন করত। এক পর্যায়ে ২০২২ সালের ১২ অক্টোবর ব্যবসায়ে নগদ মূলধনের প্রয়োজন হওয়ায় আসামি রাজু তার কাছে ৩০ লাখ টাকা ধার চায়। সু-সম্পর্ক থাকায় আসামির প্রস্তাবে রাজি হন তিনি। পরে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর প্রদানের মাধ্যমে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে তিন ধাপে ১০ লাখ টাকা করে মোট ৩০ লাখ টাকা প্রদান করেন। তখন আসামি রাজু ১৮ মাসের মধ্যে তার সমৃদ্বয় পাওনা টাকা সে ফেরত দিবে বলে জানান। কিন্তু আসামি টাকা গ্রহনের পর থেকে তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে সাড়ে ছয় লাখ টাকা ফেরত দেন। তবে অবশিষ্ট সাড়ে ২৩ লাখ টাকা ফেরত চাইলে আসামি বিভিন্নভাবে তালবাহানা করতে থাকে। সর্বশেষ গত ২৫ মার্চ রাতে টাকা ফেরত চাইলে বাদীর উপর ক্ষীপ্ত হয়ে ফেরত দিবে না বলে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে। এমনকি তার দেওয়া স্ট্যাম্প বিষয়টিও সে অস্বীকার করে।
উল্লেখ্য, ব্যবসার নামে প্রতারণার মাধ্যমে ১৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আসামি জিল্লুর রহমান রাজুর বিরুদ্ধে মামলা করে ব্যবসায়ী মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম। এ মামলাটি তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পল্টন থানার উপপরিদর্শক মো. মনজুরুল হাসান খান আসামি রাজুর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এ মামলাটি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারাধীন।