তিনদিন বাকি থাকলেও তেমন জমে উঠেনি চট্টগ্রামের কুরবানির পশুর হাট। শেষ মুহূর্তে ভালো বিক্রির আশা বেপারিদের। তবে যারা পশু দেখতে হাটে আসছেন তারা বলছেন, বাড়তি দাম হাকাচ্ছেন বিক্রেতারা।
চট্টগ্রামের বিবির হাট গরুর বাজার। যেখানে প্রায় চার হাজারের উপরে গরু আনা হয়েছে কুরবান উপলক্ষে। তবে সেভাবে এখনো হচ্ছে না বেচাবিক্রি। অনেক বেপারিই গরু নিয়ে অলস সময় পার করছেন হাটে। যাও দুএকজন ক্রেতা আসছেন তারাও দামে দরে না হওয়ায় ফেরত যাচ্ছেন। বরাবরের মতো এবারও বাজার দেশিয় গরুর দখলে। পশু খাদ্যের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় কোনোভাবেই গরুর দাম কমছে না বলে জানান বিক্রেতারা।
হাটের একজন গরু বিক্রেতা জানান, তিনি একটি গরু ৮ লাখ টাকা দাম চেয়েছে। কিন্তু ক্রেতা কোনো দাম বলেনি তাকে। আরেক বিক্রেতা জানান, তিনি এই হাটে ১৪টি গরু এনেছে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র একটি গরু তিনি বিক্রি করতে পেরেছেন।
একই অবস্থা অন্যান্য পশুর হাটেও। লাখ টাকার নিচে গরু মেলাই যেন দায় হয়ে উঠেছে ক্রেতাদের জন্য। এক-দেড় লাখ থেকে শুরু করে আট-দশ লাখ টাকা পর্যন্ত দাম হাকাচ্ছেন বিক্রেতারা। সবচেয়ে বেশি চাহিদা শাহীওয়াল জাতের গরুর। তবে গরু পর্যাপ্ত থাকলেও কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে দাম বেশি নিতেই এখনো বাজারে গরু আনছেন না বেপারিরা-অভিযোগ ক্রেতাদের।
ক্রেতারা জানান, বিক্রেতারা বলেন যে গরু কম। কিন্তু মনে হতে সিন্ডিকেট করে রাখা হয়েছে। তবে হাটে গরুর দাম অনেক বেশি।
বাজারে আসা ক্রেতা-বিক্রেতা সবার নিরাপত্তার পাশাপাশি হাট জমিয়ে তুলতে নানা প্রস্তুতির কথা বলছে বাজার কর্তৃপক্ষ এবং সিটি করপোরেশন। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় এবার গরুর হাট বসেছে ১১টি।