আর এক দিন পরই দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত হবে। কোরবানি ঈদ নামে পরিচিত এ উৎসব ঘিরে ইতোমধ্যেই রাজধানীসহ সারা দেশে বসেছে পশুর হাট।
রঙ-বেরঙের গরু নিয়ে হাটে হাজির হয়েছেন খামারিরা। নিজের মতো করে চাইছেন দাম। কিন্তু এর মধ্যেই এবার নজর কেড়েছে এমন এক গরু, যার দাম ৪৭ কোটি টাকা।
এত দামি গরুকে দেখতে জমছে ভিড়। আর সাদা রঙের বিশালদেহী এই গরুকে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ক্যামেরায় নজরদারি হচ্ছে। পাহারায় থাকছে সশস্ত্র গার্ডও।
দাম যেমন, তার নামও তেমন। দানবাকৃতির এই গরুর নাম ভিয়াতিনা-১৯ এফআইভি মারা মোভেইস। বিশ্বের সবচেয়ে দামি এই গরুর দেখা মিলবে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে।
সম্প্রতি এক নিলামে ৪০ লাখ ডলার বা ৪৭ কোটি টাকায় বিক্রি হয় ভিয়াতিনা-১৯। এরপর গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে সবচেয়ে দামি গরু হিসেবে নাম ওঠে তার। বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, আগে বিক্রি হওয়া সবচেয়ে দামি গরুর চেয়েও তিনগুণ বেশি দামে বিক্রি হয়েছে ভিয়াতিনা-১৯।
ভিয়াতিনা-১৯ নেলোর জাতের গরু। গরুটির ওজন ১ হাজার ১০০ কেজি, যা তার জাতের পূর্ণবয়স্ক গরুর গড় ওজনের দ্বিগুণ। নিজেদের গরুর এমন রূপ দেখাতে একটি মহাসড়কের পাশে দুটি বিলবোর্ড টানিয়েছিলেন ভিয়াতিনা-১৯’র মালিকরা।
আর এরপর থেকেই ভিয়াতিনা-১৯-কে দেখতে ভিড় জমায় স্থানীয়রা। এমনকি পশু চিকিৎসা নিয়ে পড়াশোনা করা শিক্ষার্থীরা বাসে করে এই ‘সুপার কাউ’ দেখতে আসে। গরুটি এখন রীতিমতো সুপারস্টার।
শুধু দামই, দেখতে খুব সুদর্শন হওয়ায় একের পর এক অ্যাওয়ার্ড জিতেছে ভিয়াতিনা-১৯। টেক্সাসের চ্যাম্পিয়ন অব দ্য ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় ‘মিস সাউথ আমেরিকা’ খেতাব জিতে নিয়েছে এই গরু। এটা গরু এবং ষাড়ের মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা হিসেবে পরিচিত।
এপি’র তথ্য মতে, ব্রাজিলের ৮০ শতাংশ গবাদি পশু জেবুস জাতের। এটি ভারতে উৎপত্তি হওয়া একটি জাতের উপজাত। তবে নেলোর প্রজাতির গরু দুধ নয় বরং মাংসের জন্য উৎপাদন করা হয়।
এত দামি হওয়ায় কারও একার পক্ষে এই গরু কেনা সম্ভব নয়। তাই কয়েকজন মিলে এ ধরনের সুপার কাউ কিনে থাকেন। ২০২২ সালে প্রায় ৮ লাখ ডলার দিয়ে এমনই একটি ভিয়াতিনা-১৯ গরুর অর্ধেক মালিকানা পেয়েছিল নাপেমো এগ্রিকালচার নামে একটি কোম্পানি। বাকি অর্ধেকের মালিকানা কিনে নিয়েছিল আরেকটি প্রতিষ্ঠান। ব্রাজিলের উবেরাবায় প্রতি বছর জেবুস গরুর প্রদর্শনী হয়। সেখানেই দেখা মেলে, এমন এক একটি সুপার কাউয়ের।
সারাদিনের সর্বশেষ খবর পেতে লেগে থাকুন প্রতিদিন খবরে