হঠাৎ করে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের বরাত দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার।
তিনি জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার হঠাৎ করে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় এভারকেয়ার হাসপাতালে খবর দেওয়া হয়। সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্স এলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। বেগম জিয়াকে করোনারি কেয়ার ইউনিট সিসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে।
এর আগে গত বুধবার (১ মে) সন্ধ্যায় খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে কিছু শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শক্রমে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে ভর্তি করা হয় সিসিইউতে। এরপর ২ মে রাত ৯টার দিকে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে তিনি গুলশানের বাসায় ফেরেন।
গত বছরের অক্টোবরে মেডিকেল বোর্ড সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার লিভারের চিকিৎসা দেশে সম্ভব নয়। দ্রুত বিদেশে উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে তার লিভার প্রতিস্থাপন জরুরি হয়ে পড়েছে। এরপর সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে আবারও বিদেশ নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয় তার পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকে। তবে আইনে সে সুযোগ না থাকায় এ অনুমোদন দেয়নি সরকার। এ চেষ্টার মধ্যে মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসার পাশাপাশি বিদেশ থেকে চিকিৎসক এনেও তার চিকিৎসা করানো হয়।
দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির চেয়ারপারসন ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দি হন। দুই বছরের বেশি সময় কারাবন্দি ছিলেন তিনি। ওই সময়ে তিনি নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি হন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার সাজা ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দিয়েছিল। তখন থেকে ছয় মাস পরপর তার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছে সরকার।