• শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ১২:২৫ অপরাহ্ন

কবুতর নিধনে গণভোট জার্মানির শহরে

মুহাম্মাদ শিমুল হুসাইন
মুহাম্মাদ শিমুল হুসাইন / ৭২
সোমবার, ২৪ জুন, ২০২৪
ছবি : সংগৃহীত
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৯১১৬৫২৫৭০ (হোয়াটসঅ্যাপ)

 

বুতরে অতিষ্ঠ হয়ে এই পাখি নিধনের জন্য গণভোট হয়েছে জার্মানির একটি শহরে। সেই ভোটে কবুতর মেরে ফেলার পক্ষে ভোট দিয়েছেন শহরের বাসিন্দারা। গত ৯ জুন পশ্চিম জার্মানির লিমবুর্গ অ্যান ডার লাহন শহরে এই গণভোটের আয়োজন করা হয়।

তবে এ ধরনের সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করছেন প্রাণী অধিকার কর্মীরা। অধিবাসীদের সঙ্গে কোন্দলে জড়িয়ে পড়েছেন তারা।

এনডিটিভি জানিয়েছে, অধিবাসীদের বেশিরভাগই কবুতর নিধনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। তবে সমালোচনার মুখে ভোটের ফল বাস্তবায়নে অগ্রসর হওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে ভাবনায় পড়েছেন শহরের কর্মকর্তারা। গণভোটের মাধ্যমে ৭০০ কবুতর মেরে ফেলার পক্ষে বাসিন্দাদের মতামত নিয়েছে শহর কর্তৃপক্ষ।

এমন অদ্ভুত বিষয়ে গণভোট হওয়ার পেছনে কারণ হচ্ছে, কবুতরের বিষ্ঠা। কবুতরের মলমূত্রে অতিষ্ঠ হয়ে শহরের বাসিন্দারা নানা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বাজপাখি দিয়ে কবুতর মেরে ফেলার দাবি জানান। কেউ কেউ কবুতরের বিষ্ঠায় অতিষ্ঠ হয়ে আইনের আশ্রয়ও নিয়েছেন।

এ নিয়ে প্রাণী অধিকারকর্মীদের সঙ্গে চলছে আইনি লড়াই। এরই মধ্যে লিমবুর্গের নিউমার্কেট কেন্দ্রীয় স্কোয়ারের আশপাশের বাসিন্দা, রেস্তোরাঁ এবং বাজারের বিক্রেতারা আন্দোলনেও নেমেছেন। গত ২০ জুন লিমবুর্গের কর্মকর্তারা বলেছিলেন, তারা গণভোটের ফল নিয়ে এগিয়ে যাবে কি না, তা বিবেচনা করছেন।

শহরের মুখপাত্র জোহানেস লাউবাচক বলেন, গণভোটের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। রেজলিউশনে বলা হয়েছে, সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের আগে আরও অধিকতর পর্যালোচনা করা হবে।

এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীদের দাবি, বছরের পর বছর ধরে শহরের কবুতরের কারণে তারা হতাশ। গত বছর নভেম্বরে শহরের কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নেয়, লিমবুর্গের কবুতরের সংখ্যা কমানোর জন্য শহরে বাজপাখি ছেড়ে দেওয়া উচিত।

জার্মানভিত্তিক গণমাধ্যম ডয়েচে ভেলের সামাজিক মাধ্যম এক্সের (সাবেক টুইটারে) একটি পোস্টে বলা হয়, গত সপ্তাহে পশ্চিম জার্মান রাজ্য হেসের লিমবুর্গ আন ডার লাহন শহরের বাসিন্দারা ৭০০ কবুতরকে মেরে ফেলার জন্য ভোট দিয়েছেন।

মেয়র মারিয়াস হ্যান বলেছেন, লিমবুর্গের বাসিন্দারা তাদের অধিকার প্রয়োগ করেছে। তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগামী দুই বছরের মধ্যে একটি বাজপাখির মাধ্যমে কবুতরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।

এদিকে এ ধরনের কার্যক্রমে প্রাণী অধিকার কর্মীরা আতঙ্কিত। সমালোচকেরা বলছেন, এ ধরনের কার্যক্রম সত্যিই অগ্রহণযোগ্য।

সারাদিনের সর্বশেষ খবর পেতে লেগে থাকুন প্রতিদিন খবরে

 

 


আরও সংবাদ

জরুরি হটলাইন