বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আমরা আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়ে আসছি বহুদিন ধরে। কিন্তু তিনি এখনো কারাগারে। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি জামিন পান না। জামিন পান খুন ও মৃত্যুদণ্ডের আসামি। কোনো কারণ ছাড়াই শেখ হাসিনাকে খুশি করার জন্য খালেদা জিয়ার জামিন দিচ্ছে না।
শনিবার (২৯ জুন) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী সাংবিধানিক ৪০২ ধারা দিয়ে নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়েছেন। নেত্রীকে মুক্ত করতে হলে লাগবে আন্দোলন। বক্তৃতায় মুক্তি মিলবে না। বক্তৃতা দিয়ে কিন্তু দেশ স্বাধীন হয়নি।
তিনি বলেন, খালেদা বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের হার্ট। তাকে তাড়াতাড়ি মুক্ত করতে না পারলে বাংলাদেশ মানচিত্র থেকে মুছে যাবে। আজকে সরকার যেসব চুক্তি ভারতের সঙ্গে করেছে তাতে আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা ভারত বিদ্বেষী নই। আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের পক্ষে। এই লড়াই গণতন্ত্রের লড়াই। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা মানেই বাংলাদেশ ও গণতন্ত্রকে মুক্ত করা।
উল্লেখ্য, দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। বেলা পৌনে ৩টায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সমাবেশ শুরু হয়। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন। সমাবেশকে কেন্দ্র করে দুপুর ২ টার আগেই নয়াপল্টন এলাকা নেতাকর্মীদের পদচারণায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। কার্যালয়ের সামনের দুপাশের সড়ক বন্ধ হয়ে যায়।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস-চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, মো. শাহজাহান, নিতাই রায় চৌধুরী, আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, জয়নুল আবদীন ফারুক, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমেদ, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, উত্তর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আমিনুল হক, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির প্রমুখ বক্তব্য দেন।